মিনাখাঁ, 1 নভেম্বর: ফের আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক ৷ সুকুমার মাহাতোর পর এবার হামলার মুখে ঊষারানি মণ্ডল ৷ মিনাখাঁর বিধায়ক ও তাঁর স্বামী তথা উত্তর 24 পরগনার জেলা পরিষদের পরিষদীয় দলনেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের উপর হামলার অভিযোগ । বৃহস্পতিবার রাতে হাড়োয়া থানা থেকে কালীপুজোর নেমন্তন্ন সেরে ফিরছিলেন ঊষারানি ৷ সেসময় বিধায়কের উপর হামলা চালায় হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা হাড়োয়া দু’নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা ও তার অনুগামীরা, এমনটাই অভিযোগ ৷
অভিযোগ, বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয় । তারপর বিধায়ক ও তাঁর স্বামী গাড়ির দরজা খুলে বাইরে বের হতেই আব্দুল খালেক মোল্লা ও তার অনুগামীরা হামলা চালায় । ঘটনায় বিধায়কের ডান পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে । কাঠের বাটাম দিয়ে বিধায়কের পায়ে আঘাত করা হয় । বিধায়ক ও তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে এসে আহত হন বিধায়কের সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরাও । প্রায় পাঁচজন তৃণমূল কর্মী আহত হয় । তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক মোল্লা । তিনি বলেন, ‘‘ঊষারানি ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় যা বলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ।ওঁনারা নিজেই সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন । আমাদের পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা মণ্ডল এবং তাঁর লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছেন । গুলিও চালানো হয়েছে । লোকসভা ভোটে নিজের বুথে হেরে বিধায়ক এখন দলেই কোণঠাসা । হাড়োয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তিনি আসেননি । বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে ওঁর । তাঁর লোকজন এখন দল থেকে বহিষ্কৃত । তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ দিচ্ছেন ।’’
তিনি বলেন, ‘‘গতকাল রাতে আমাদের একটি পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল । আমরা সবাই সেদিকে যাচ্ছিলাম । সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন । আচমকা সেখানে চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা । আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে থাকে । 40 থেকে 50 রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে । আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন । তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।’’
শুক্রবার সকালে হাড়োয়া অটো স্ট্যান্ড চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে গুলির খোল । গোটা এলাকা থমথমে । উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । দোকান-বাজার খোলা থাকলেও লোকজন তেমন নেই । আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ মুখ খুলছেন না ।