কলকাতা, 3 জুলাই: চোপড়ার ঘটনায় মহিলার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করা তাঁর ঠিক হয়নি। এ সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তাতে তিনি অনুতপ্ত। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এসে এ কথাই জানালেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। এদিন বিধানসভায় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। এর একদিন আগেই তাঁকে শো-কজ করা হয় দলের তরফে ৷
চোপড়াকাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শো-কজ করা হয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানকে ৷ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে চোপডার বিধায়ককে শো-কজ করে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবারই জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠান। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে। হামিদুর জবাব দিলে তা রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হবে। এই ঘটনা নিয়ে চোপড়ার বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, "আমি এখনও কোনও চিঠি পাইনি। দলের চিঠি হাতে পেলে অবশ্যই তার জবাব দেব।" এরপরই বিধানসভায় এসে নিজের অনুতাপের কথা জানালেন বিধায়ক ৷
প্রসঙ্গত, চোপড়ায় যুগলকে মারধরের ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি ৷ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে রবিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি বিতর্ক বাড়িয়েছে বিধায়ক হামিদুল রহমানের কথাও ৷ যদিও পরবর্তীতে নিজের বয়ান বদল করেন। তবে তার এই বক্তব্যকে ঘিরে ময়দানে নামে বিজেপি। গোটা বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরেই তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, শো-কজের কী উত্তর হামিদুল দেন, তা দেখার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হামিদুল যে মন্তব্য করেছিলেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে ৷ এরপরেই তৃণমূল নেতা তাজেমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যুগলকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় ৷ ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক তরুণ-তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে একটি কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা ৷ এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই প্রতিবাদ করে বিরোধী শিবির ৷