অশোকনগর, 26 ফেব্রুয়ারি: ঘরে ঢুকে তৃণমূল উপপ্রধানকে লক্ষ করে একে পর এক গুলি। গুরুতর আহত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবার রাতে উত্তর 24 পরগণার গুমা এক নম্বর পঞ্চায়েত সংলগ্ন স্টেশন পাড়ার ঘটনা। নিহতের নাম বিজন দাস (49)। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
অভিযোগে তির স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌতম দাসের বিরুদ্ধে ৷ এলাকাবাসীর দাবি, গৌতম সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। জমির দালালি করে। বিজন বিশ্বাসের জন্য ব্যবসা ও অন্যান্য বেআইনি কাজ করতে পারছিল না। দীর্ঘ দিন ধরেই ওই উপপ্রধানের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল ৷ নিজের রাস্তা পরিষ্কারের জন্য বিজনকে খুন করেছেন, এমনটাই মনে করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছয় হাবড়া ও অশোকনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ক্লাবে দিনভর অনুষ্ঠানে ছিল। সেখানে সারা দিন দেখভাল করছিলেন উপপ্রধান বিজন বিশ্বাস। রবিবার রাতে ক্লান্ত হয়ে পাশের একটি বাড়িতে শুয়ে পড়েন তিনি । অভিযোগ, সেই ঘরে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ করে একের পর এক গুলি চালায় গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছয় হাবড়া ও অশোকনগর থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস্ত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দলীয় নেতার গুলি লাগার খবর শুনে রাতেই হাসপাতালে আসেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকুলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন , "মর্মান্তিক ঘটনা। দলের অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ বিজন ছাত্র রাজনিতি থেকে বর্তমানে গুমা 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁকে এইভাবে খুন হতে হল, এটা অবিশ্বাস্য লাগছে। পুলিশ তদন্ত করছে । ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করছে পুলিশ।"
আরও পড়ুন: