কলকাতা, 19 মে: রাত পোহালেই বনগাঁয় ভোট। এখানকার ভোটের অন্যতম বড় ইস্যু নাগরিকত্ব। নির্বাচনের আগের দিনও তা নিয়ে প্রশ্ন পালটা প্রশ্ন, অভিযোগ পালটা অভিযোগ চলছে। রবিবার রাজ্যে এসে একের পর এক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একাধিক সভা থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা যায়, ইন্ডিয়া জোটের সব তির ভোতা হয়ে গিয়েছে। ষড়যন্ত্রও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। এর জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন ৷
এদিন নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, বিরোধীরা অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছে। এরা ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার জন্য রাজনীতি করছে। তৃণমূল এবং তার সহযোগীরা আদিবাসীদের সংরক্ষণ ছিনিয়ে নিতে চাইছে। বাবাসাহেব আম্বেদকর ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু আজকের দিনে ইন্ডিয়া জোটের সহযোগীরা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণকে লাগু করতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা দলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন।
তাঁর কথায়, "ইন্ডিয়া জোটের কাছে শোচনীয় পরাজয় হবে বুঝতে পেরেই এসব কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞাসা করছেন, পাঁচ বছর আগে সংখ্যাধিক্যের বলে বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার পর কেন বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক্সটেনশন করা হয়েছিল। কেন ভোটের আগেই এ ধরনের জুমলাবাজি করতে হল? উনি বলছেন, বাবাসাহেব আম্বেদকর ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ কে সমর্থন করতেন না। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ভারতবর্ষের সংবিধানের কোন ধারায় ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
শান্তনু সেনের আরও সংযোজন, "সিএএ'র ফর্মে আবেদন করতে গেলে পিতৃপরিচয়, মাতৃপরিচয় দিয়ে কেউ যদি আবেদন করতে না-পারেন এবং তাঁর আবেদন যদি বাতিল হয় তাহলে তার ভবিষ্যৎ কী হবে? সেক্ষেত্রে তাঁকে কি ডিটেনশন কাম্পে যেতে হবে? এদিন শান্তনু সেন আরও বলেন, "এত বড় বড় কথা বলেন আপনাদের বিদায়ী মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাহলে এই আইন চালু হওয়ার পর কেন সবার আগে নিজে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেন না? সেই যুক্তিতে তিনি তো এখনও নাগরিক নন। তাহলে তাঁর ভোটে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি?"
আরও পড়ুন: