সন্দেশখালি, 19 মে: যত কাণ্ড সন্দেশখালিতে ! এ বার সেখানে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে ৷ ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ সাউ । শনিবারই তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানার অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার । পাশাপাশি সিবিআই শিবিরেও অভিযোগ জানানো হয় । পরবর্তীতে সিবিআই সেই অভিযোগ ইমেল মারফত পাঠিয়ে দেয় বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে । এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে । ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
প্রসঙ্গত, 15 বছরের যে মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে । বেড়মজুর অঞ্চলে দিদার বাড়িতে থেকেই ওই নাবালিকা পড়াশোনা করত । নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, "শুক্রবার রাতে নাবালিকা কন্যা যখন তার ঘরে ঘুমোচ্ছে, তখন বেড়া ভেঙে ঘরে ঢোকে অভিযুক্ত । তারপর সে নাবালিকা কন্যার মুখ চেপে ধরে তার উপর যৌন নির্যাতন চালায় । সে চিৎকার চেঁচামেচি করলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় ।"
নির্যাতিতার পরিবারের আরও দাবি, "অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত । ওর বাবা এলাকার একজন নেতা । ঘটনার সময় ওই নাবালিকা নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ছেলেটিকে খামচে দেয় । সেই নখের আঁচড় ছেলেটির শরীরে রয়েছে বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের । এই ঘটনা সামনে আসতেই আবারও সরগরম হয়ে ওঠে সন্দেশখালি । এ দিকে, ঘটনার পর নির্যাতিতা নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শনিবার বিকেলে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় সন্দেশখালি থানায় ।
সেই সময় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারও । তিনি এই ঘটনায় সরব হন এবং সন্দেশখালি ইস্যুতে আক্রমণের সুর চড়ান শাসকদলের বিরুদ্ধে । অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল । সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার না করাতেই এই ঘটনা ।"
অন্যদিকে, রবিবার ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: