সন্দেশখালি, 16 মে: ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক । সন্দেশখালি 2 ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ এই অভিযোগের পিছনে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মদত দেখছেন । এ বিষয়ে ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "বিজেপির পায়ের তলায় মাটি ক্রমশ সরছে । তারা হারছে বুঝতে পেরেছে । এই কারণেই এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । কোনও লাভ হবে না । 1 তারিখে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন ।" তিনি বলেন, "আইনের প্রতি ভরসা আছে । পুলিশ-আদালত ডাকলে যাব । ওরা মিথ্যে মামলা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না ।"
সন্দেশখালি আছে, সন্দেশখালিতেই । আবারও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে । তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে এক মহিলা বুধবার গভীর রাতে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । সেখানে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে । তার মধ্যে দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামও রয়েছে । বাকি তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে । অভিযোগকারিণীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে আজ টোটোতে করে বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় । তাঁকে আদালতে পেশ করে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে । উল্লেখ্য, বুধবার দিনভর বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সঙ্গে ছিলেন ওই মহিলা ৷
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী বলেন, "একাধিক অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে । পিকাই দাস, দিলীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে । অভিযোগ, ওই মহিলা রাতে বাড়ির পাশে ভেড়ির ধারে শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তখনই কয়েকজন তাঁকে তুলে নিয়ে যায় । দিলীপ মল্লিকের নেতৃত্বে তারাই ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । সেই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করা হয়েছে ।"
এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যান বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র । অভিযোগ দায়ের করতে থানাতেও যান তিনি । অভিযোগের পরও পদক্ষেপ না-করা হলে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ।
রেখা পাত্র বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাব আমরা । তিন জন পুলিশ আধিকারিক এসেছিলেন ঘটনার পরে কিন্তু আমরা কোনও অভিযোগ করিনি ৷ কারণ পুলিশ ওকে নিয়ে গিয়ে আরও মানসিকভাবে নির্যাতন করত ।"
আরও পড়ুন: