মালদা, 5 অগস্ট: গরুপাচার চক্রে নাম জড়াল আরও এক তৃণমূল নেতার ৷ বাংলাদেশে গরু পাচারে অভিযোগ উঠে আসছে মালদার রতুয়ার তৃণমূল নেতা আমির হোসেনের বিরুদ্ধে ৷ তবে পাচারের ব্যবসার কথা অস্বীকার করলেও, গরুর ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা ৷ গরুপাচারের কাজে ব্যবহৃত পিক আপ ভ্যানও বাজেয়াপ্ত করেছে রতুয়ার সামসী ফাঁড়ির পুলিশ ৷ পলাতক চালকের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷
রবিবার, গোপন সূত্রে সামসী ফাঁড়ির পুলিশ জানতে পারে, একটি পিক আপ ভ্যানে কয়েকটি গরু বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে ৷ খবর পেয়ে স্থানীয় কুশরাক্ষা গ্রামে সামসী-রতুয়া রাজ্য সড়কের উপর জাল পাতে পুলিশ ৷ কিছুক্ষণ পর নির্দিষ্ট নম্বরের পিক আপ ভ্যানটি সেখানে উপস্থিত হয় ৷ ভ্য়ানটি তল্লাসিত দেখা যায় তিনটি ষাঁড় শুইয়ে রাখা আছে ৷ পুলিশ ষাঁড়-সহ গাড়িটি উদ্ধার করে সামসী ফাঁড়ি নিয়ে যায় ৷ ঘটনার পর থেকে চালক পলাতক ৷
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, যে পিক আপ ভ্যানটিতে ওই তিনটি ষাঁড়কে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল, সেটির মালিক আমির হোসেন ৷ তিনি সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ৷ পেশায় গরুর ব্যবসায়ী ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় কানাঘুষো ছিল, তিনি বাংলাদেশে গরু পাচারের জড়িত ৷ এবার তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ষাঁড়গুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
এই ঘটনার প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অভিষেক সিংহানিয়া বলেন, "খবর পেয়েছি একটি গাড়িতে তিনটি ষাঁড় পাচার করা হচ্ছিল ৷ সামসী ফাঁড়ির পুলিশ গাড়িটি ধরেছে ৷ পরে জানতে পারি, ওই গাড়িটি তৃণমূলের সামসী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আমির হোসেনের ৷ আমাদের অঞ্চল, এমনকি বিহার থেকেই সরকারি ষাঁড় আর গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে ৷ ষাঁড়গুলি বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই আমির হোসেনের বক্তব্য, "ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে , আমার জানা নেই ৷ আমি গরুর ব্যবসা করি সেটা ঠিক ৷ সপ্তাহে একদিন সামসীতেই আমি ব্যবসা করি ৷ বাইরে কোথাও ব্যবসা করি না ৷ ওই গাড়িটি আমার ৷ আমাকে বলেছিল, একটা ভাড়া রয়েছে ৷ সেই ভাড়া খাটতে গিয়েছিল ৷ সকালে শুনতে পেলাম, আমার গাড়ি নাকি সামসী ফাঁড়ির পুলিশ আটকে রেখেছে ৷ লোকে বলছে, গাড়িতে নাকি তিনটি ষাঁড় ছিল৷ আমি চালকের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি৷ কিন্তু তার ফোনের সুইচ অফ ৷"