খন্ডঘোষ, 29 মে: ভোট মিটতে না-মিটতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। খন্ডঘোষের উখরিদ এলাকার শেরপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে আহত 5 ৷ আহত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান, তাঁর ছেলে ও ভাইপোরা ৷
তৃণমূল সূত্রের খবর, অঞ্চল সভাপতি হাবিবুর রহমান তৃণমূল বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের অনুগামী ৷ তাঁর সঙ্গেই তৃণমূল অঞ্চল ব্লক সভাপতির অশান্তি হয় ৷ অভিযোগ, মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই অশান্তি শুরু হলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। নির্বাচনের মধ্যেই দুই গোষ্ঠীর বিবাদকে মেটানোর চেষ্টা করে তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বরা। নির্বাচনের সময় যদিও গন্ডগোলের খবর প্রকাশ্যে আসেনি।
তৃণমূল কর্মী আলি হোসেন মণ্ডল বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নির্দেশে বেশ কিছু বহিরাগতদের নিয়ে উখরিদ অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি এবং তার ছেলে ও ভাইপোকে মারধর করা হয়। মোট 5 জন আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়।" অভিযোগ, মূলত অঞ্চল দখলের লড়াই নিয়েই এই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি খুনের রাজনীতি করে । অঞ্চল সভাপতিকে বাদ দিয়ে ব্লক সভাপতি নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করতে আগ্রহী। বিভিন্ন কাজের জন্য নিজের ইচ্ছেমতো টেন্ডার পাস করিয়ে নেয়। কেউ প্রতিবাদ করলেই গুন্ডা বাহিনীকে কাজে লাগায়।
তাঁর কথার রেশ টেনেই আহত অঞ্চল সভাপতির ছেলে মেহবুব রহমান বলেন, "আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক গোষ্ঠীর লোক। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির নির্দেশে আমার মাথায় টাঙি নিয়ে আঘাত করেছে। আমার বাবা ও ভাইকে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। এলাকা দখলের জন্যই এইভাবে খুনের ঘটনার চেষ্টা।"
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই, তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, "কী ঘটেছে জানা নেই। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই । যদি কিছু ঘটে থাকে, প্রশাসন আছে তারা দেখবে। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।"