কলকাতা, 11 জুন: মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহপাঠী সুপ্তিকেই শেষমেশ প্রার্থী করল শাসক শিবির। মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের নাম জল্পনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাধন পাণ্ডের স্ত্রীকেই মানিকতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হল ৷ আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা না হলেও মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে দল।
প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের ভিতরে থাকা 6 ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উপস্থিত ছিলেন গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য তৈরি কোর কমিটির সদস্যরাও। একমাত্র শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি বিধায়ক পরেশ পাল। বৈঠকের পরই সুপ্তির নামে অনুমোদন দেন মমতা।
এদিন নবান্নের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে অন্যতম মানিকতলা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সাধন পাণ্ডের স্ত্রীকে বেছে নেওয়া। দলের তরফে চার বিধানসভা উপনির্বাচনের সব প্রার্থীর নাম একসঙ্গে জানানো হবে। আর তাই এই মুহূর্তে সুপ্তি পাণ্ডের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক হিসেবে কুণাল ঘোষের নাম ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউতকে মানিকতলা কেন্দ্রের জন্য দলের তরফে মুখ্য নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর সামগ্রিকভাবে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়-দায়িত্ব ছিল কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডের উপর। আগামিদিনে এই দায়িত্ব সামলাবে দলনেত্রীর তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি। এক্ষেত্রে শুধু প্রার্থী হিসেবে শ্রেয়া পাণ্ডের নাম প্রত্যাখ্যান করা হল এমনটি নয়, পাশাপাশি তাঁকে এতদিন যে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। যেখানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল সেখানেও জয়ের ব্যবধান ছিল খুবই সামান্য।
দলীয় সূত্রে খবর, সামগ্রিকভাবে লোকসভা নির্বাচনে মানিকতলায় দলের ফলে মোটেই খুশি নন দলনেত্রী। কারণ শেষ পুরসভার নির্বাচন দেখলে এই বিধানসভার সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সেই ফল কেন এই জায়গায় এসে দাঁড়ালো তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন খোদ দলনেত্রী। তবে এই মুহূর্তে সকলকে একসঙ্গে হয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বড় জয় যাতে তোলা যায় সেই জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন লোকসভার ফল দেখলে যেখানে তিন হাজারের সামান্য কিছু ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল সেখানে দল কতটা বড় জয় নিয়ে আসতে পারে।