পশ্চিম মেদিনীপুর, 27 মার্চ: মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে জুন মালিয়ার ভোটপ্রচার ঘিরে শাসক শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ৷ শহরের 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জুন মালিয়ার গাড়ি থেকে নামানোর দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূলের একাংশকে ৷ অভিযোগ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিছিলের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান ৷
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলর হন অর্পিতা রায় নায়েক ৷ সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন ৷ এদিন তাঁর ওয়ার্ডে প্রচারের সময়, তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া অর্পিতা রায় নায়েককে গাড়িতে তুলে নেন ৷ প্রচার কিছুটা এগোনোর পরেই তৃণমূলের একদল কর্মী অর্পিতা রায় নায়েকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে ৷ একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছেন এই কাউন্সিলর ৷ ৷
প্রতিবাদকারী তৃণমূল কর্মীরা একটি ব্যানারও নিয়ে আসেন মিছিলে ৷ সঙ্গে চলতে থাকে স্লোগান ৷ যে ঘটনায় মিছিলে উপস্থিত বাকি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ তাঁরা একে অপরকে ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ ৷ যদিও, এই পুরো ঘটনাটি জুন মালিয়ার গাড়ি থেকে বেশ কিছুটা সামনে হচ্ছিল ৷ আর সামনে একাধিক তৃণমূলের পতাকা থাকায়, বিষয়টি তাঁর নজর এড়িয়ে যায় ৷ তবে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরনোর আগেই ময়দানে নামেন পৌরসভার চেয়ারম্য়ান সৌমেন খান ৷ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
এই ঘটনা নিয়ে পরে কাউন্সিলর অর্পিতা রায় নায়েককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না ৷ যখন আমার ওয়ার্ডে এই বর্ণনাট্য মিছিল হচ্ছিল, তখন প্রার্থী জুন মালিয়া আমাকে গাড়িতে ওঠার জন্য নির্দেশ দেন ৷ আমি গাড়িতে ওঠার পরবর্তী সময়ে কী ঘটনা ঘটেছে, তা আমি দেখিনি ৷"
বিক্ষোভকারী রাজদীপ ঘোষ এবং কৌশিক পালরা অভিযোগ করেছেন, "সদ্য যোগ দেওয়া এই নির্দল কাউন্সিলর প্রায় সময়ই দলত্যাগ করেন ৷ দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় স্লোগান এবং প্রচারও করেছেন ৷ সম্প্রতি দু’দিন আগে তিনি নির্দল থেকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে ৷ তাঁকেই গাড়িতে উঠিয়ে মিছিল করছে প্রার্থী নিজেই ৷ আমাদের দাবি ছিল, ওই কাউন্সিলরকে গাড়ি থেকে নামাতে হবে ৷ কিন্তু, মিছিলের মধ্যে দেখলাম আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হল না ৷"
আরও পড়ুন: