কলকাতা, 31 জুলাই: তথ্যপ্রযুক্তির এত অগ্রগতি সত্ত্বেও কেন 100 দিনের কাজের শ্বেতপত্র দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই প্রশ্নই তুলল তৃণমূল ৷ 100 দিনের কাজ নিয়ে আরও একবার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে সরব হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ। এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই তাঁরা দাবি করেন, বিজেপি 100 দিনের কাজ নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করছে। তৃণমূল এর বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছে বলেও দাবি করেন চন্দ্রিমারা। লোকসভা নির্বাচনের আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধে শ্বেতপত্রের দাবি তুলেছিলেন। এরপর 3400 ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এই নিয়ে কোনও শ্বেতপত্র প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উলটে তারা মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা ৷
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, "সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জব কার্ড পাওয়া গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশা থেকে। এরপরেও তাদের কোনও অর্থ বন্ধ হয়নি ! একমাত্র বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা। 2021 সালের পর বাংলাকে এই প্রকল্পের একটি টাকাও দেওয়া হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 100 দিনের কাজে রাজ্যের তরফ থেকে তহবিল তৈরি করে গরিব মানুষের টাকা দিচ্ছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আমরা যখন রাজ্যে বঞ্চনা নিয়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে সরব হয়েছে তখন কথার জাগলারি করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।"
কুণালের দাবি, বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তা সামনে আনুন। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট তিনি টাকা দিতে পারেননি।" শুধু কুণাল ঘোষ নয়, এদিন এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।
তিনি বলেন, "আমরা বারবার বলছি, বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে 100 দিনের কাজ ও আবাস যোজনার কেন্দ্রীয় শেয়ার পাচ্ছি না। ইতিমধ্যেই 1.71 লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলার।" কেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে টাকা ছাড়ছে না, প্রশ্ন করেছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, "আমরা এই বকেয়ার দাবিতে বারবার আন্দোলন বিক্ষোভ করছি। তবুও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বাংলাকে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যথার্থই বলেছেন, বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হলো তা নিয়ে শ্বেতপত্র দেওয়া হোক। তথ্যপ্রযুক্তি আমি আজকে এতদূর এগিয়ে গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই রাজ্যকে শ্বেতপত্র দিতে পারে। কেন তা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট নিয়ে 100 মিনিট ধরে সংসদে বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু বাংলার দাবি নিয়ে একটি কথাও বলছেন না।