বাঁশবেড়িয়া, 6 জুলাই: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়ে বিক্ষোভ বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় ৷ পরে স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ 12 জন তৃণমূল কাউন্সিলরের। চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, খারাপ ব্যবহার-সহ নানা অভিযোগে কিছুদিন আগেই অবস্থানে বসেছিলেন 14 জন তৃণমূল কাউন্সিলর।
তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস ও প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, কাউন্সিলর হিসেবে তাঁরা এলাকায় কোনও কাজ করতে পারছেন না। স্ট্যান্ডিং কমিটি কাউন্সিলরদের কাছে অলংকার ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন। প্রতিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান ৷ তিনি কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয় দলের নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে ৷ আশা করা যায়, কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ সূত্রের খবর, যাঁরা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা নাকি মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ছ'টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ তুলেছেন ৷
বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পূর্ত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন, জল বন্টন এবং অর্থ দফতর এই ছ'টি বিভাগে স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। প্রতি কমিটিতে সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং একজন সদস্য নিয়ে মোট তিন জন করে রয়েছেন। সকলেই কাউন্সিলর। এক জন কাউন্সিলর একাধিক কমিটিতে রয়েছেন। সে ভাবেই মোট 15 জন কাউন্সিলর ওই কমিটিতে রয়েছেন। তার মধ্যে অর্থ দফতরের সভাপতি সিপিএমের সরস্বতী ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের দুই সদস্য এদিন ইস্তফা পত্র জমা দিতে আসেননি। বাকি 12 জন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। 12 জনই তৃণমূল কাউন্সিলর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় 1500 ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। মূলত তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রধানের সঙ্গে কোনওভাবেই কাজ করা যাচ্ছে না। তিনি কাউন্সিলর দের কোনও কথা শোনেন না। তাঁদের আরও অভিযোগ চেয়ারম্যানের অসহযোগিতা ওয়ার্ডে ঠিক মত কাজ করতে পারেন না কাউন্সিলররা। যার ফলে লোকসভা ভোট হারতে হয়েছে তাঁদের। গত 22 জুন চেয়ারম্যান বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এরপরেই 12 জন তৃণমূল কাউন্সিলর পদত্যাগ করেন।