ETV Bharat / state

উপনির্বাচনে জয়ের পথে বাধা হবে না আরজি কর-কাঁটা, দাবি তৃণমূলের

সামনেই রাজ্যের 6টি আসনে উপনির্বাচন ৷ আর এই ভোটে জয়ের পথে আরজি কর কাঁটা বাধা হবে না বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

ETV BHARAT
উপনির্বাচনে জয়ের পথে আরজি কর কাঁটা বাধা হবে না: তৃণমূল (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 27, 2024, 4:10 PM IST

কলকাতা, 27 অক্টোবর: 13 নভেম্বর রাজ্যে 6 বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন । তবে আরজি কর আবহ তাদের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

একুশের বিধানসভার ফল বলছে, এই 6 আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনই ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আর একটি আসন ছিল বিরোধী দল বিজেপির । কিন্তু এমন একটা সময়ে রাজ্যে উপনির্বাচন হতে চলেছে যে সময় আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । আর এই আবহে সামান্য হলেও অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে যে টানা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে, মূলত সেসব অস্বস্তি নিয়েই উপনির্বাচনে লড়াই করতে হবে তৃণমূলকে । সে কারণে এবার তাদের জন্য এই উপনির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । যেহেতু উৎসবের মরশুমের মাঝেই ভোট, তাই আরও একটা সমস্যা রয়েছে । বাংলায় অন্তত উৎসবের দিনগুলিতে রাজনীতিকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না মানুষ । আর তাই শাসকবিরোধী সব পক্ষই এই বিষয়টা মাথায় রেখে তাদের মতো করে কৌশল নির্ধারণ করছে ।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করেছে । উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখেই এই সময় বড় প্রচার সভা করার থেকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যে জেলাগুলিতে ভোট রয়েছে, সেই জেলার জেলা নেতৃত্বদের আঞ্চলিক সমস্যাগুলির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে ।

সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা জেনে প্রার্থীকে সচেতন করতে বলা হয়েছে । নির্বাচনী প্রচারে সেই আঞ্চলিক সমস্যাকেই বাড়তি গুরুত্ব দেবেন তৃণমূল প্রার্থী । সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল থাকলেও শাসকদলের নেতৃত্ব মনে করছে, আরজি কর ইস্যুর প্রভাব মূলত শহরকেন্দ্রিক । গ্রামীণ ভোটারদের উপর এর প্রভাব সেভাবে পড়বে না । মূলত সে কারণেই আঞ্চলিক বিষয়গুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে ।

বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, আসন্ন উপনির্বাচনে আরজি করের প্রভাব সেভাবে নেই । এই ঘটনার প্রভাব শহর কলকাতা ও তার আশেপাশে একটু পড়লেও মফস্বল বা গ্রামীণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব নেই । তিনি মনে করছেন, এক্ষেত্রে উপনির্বাচনে ছয় আসনেই সহজ জয় পাবে তৃণমূল ।

তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর, উপনির্বাচনে আরজি কর ইস্যুকে কোনওভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছে না শাসকদল । এক্ষেত্রে শাসকদলের অবস্থান হল, প্রথম থেকেই আরজি কর ইসুতে দোষীর করা শাস্তি চেয়েছে তৃণমূল । বিভিন্ন সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন বলে তুলে ধরা হবে ভোটের প্রচারে ।

এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, আরজি করের ঘটনার জন্য যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই দায়ী নয়, তাই তৃণমূল কংগ্রেস আরজি কর আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় থেকেছে ৷ প্রতিবাদের সময় বিরোধীরা যে ভূমিকা নিচ্ছিল তার আমরা সমালোচনা করি । তাই আমরা চুপ ছিলাম । মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বিষয়টির সঠিক সমাধান । যেহেতু সেটা হয়ে গিয়েছে, এই অবস্থায় খোলাখুলি ভাবে প্রচারে আর বাধা নেই ।

এক্ষেত্রে সৌগত রায়ের আরও দাবি যে, বিরোধীরা আসলে আরজি কর ইসুর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ভালো কাজকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে । সেক্ষেত্রে ভোটের প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পগুলির দিকে ।

এবার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দলীয় অন্তর্ঘাত, মতানৈক্য এসবের ঊর্ধ্বে উঠেই লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন দলের শেষ নেতৃত্ব । এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে উত্তর 24 পরগনার দুই বিধানসভা আসন জেতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুজিত বোস, নির্মল ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী ও পার্থ ভৌমিকের মতো নেতাদের । যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক প্রার্থীর উপর ভরসা রাখা হয়েছে, তাই আরও বেশি করে জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতাদের সক্রিয় হতে বলা হয়েছে । এই অবস্থায় দেখার, এই কৌশলে শেষ পর্যন্ত ছয়-এ-ছয় হয় কি না তৃণমূলের ।

কলকাতা, 27 অক্টোবর: 13 নভেম্বর রাজ্যে 6 বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন । তবে আরজি কর আবহ তাদের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

একুশের বিধানসভার ফল বলছে, এই 6 আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনই ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আর একটি আসন ছিল বিরোধী দল বিজেপির । কিন্তু এমন একটা সময়ে রাজ্যে উপনির্বাচন হতে চলেছে যে সময় আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । আর এই আবহে সামান্য হলেও অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে যে টানা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে, মূলত সেসব অস্বস্তি নিয়েই উপনির্বাচনে লড়াই করতে হবে তৃণমূলকে । সে কারণে এবার তাদের জন্য এই উপনির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । যেহেতু উৎসবের মরশুমের মাঝেই ভোট, তাই আরও একটা সমস্যা রয়েছে । বাংলায় অন্তত উৎসবের দিনগুলিতে রাজনীতিকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না মানুষ । আর তাই শাসকবিরোধী সব পক্ষই এই বিষয়টা মাথায় রেখে তাদের মতো করে কৌশল নির্ধারণ করছে ।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করেছে । উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখেই এই সময় বড় প্রচার সভা করার থেকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যে জেলাগুলিতে ভোট রয়েছে, সেই জেলার জেলা নেতৃত্বদের আঞ্চলিক সমস্যাগুলির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে ।

সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা জেনে প্রার্থীকে সচেতন করতে বলা হয়েছে । নির্বাচনী প্রচারে সেই আঞ্চলিক সমস্যাকেই বাড়তি গুরুত্ব দেবেন তৃণমূল প্রার্থী । সাম্প্রতিক সময়ে আরজি কর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল থাকলেও শাসকদলের নেতৃত্ব মনে করছে, আরজি কর ইস্যুর প্রভাব মূলত শহরকেন্দ্রিক । গ্রামীণ ভোটারদের উপর এর প্রভাব সেভাবে পড়বে না । মূলত সে কারণেই আঞ্চলিক বিষয়গুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে ।

বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, আসন্ন উপনির্বাচনে আরজি করের প্রভাব সেভাবে নেই । এই ঘটনার প্রভাব শহর কলকাতা ও তার আশেপাশে একটু পড়লেও মফস্বল বা গ্রামীণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব নেই । তিনি মনে করছেন, এক্ষেত্রে উপনির্বাচনে ছয় আসনেই সহজ জয় পাবে তৃণমূল ।

তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর, উপনির্বাচনে আরজি কর ইস্যুকে কোনওভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছে না শাসকদল । এক্ষেত্রে শাসকদলের অবস্থান হল, প্রথম থেকেই আরজি কর ইসুতে দোষীর করা শাস্তি চেয়েছে তৃণমূল । বিভিন্ন সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন বলে তুলে ধরা হবে ভোটের প্রচারে ।

এ প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, আরজি করের ঘটনার জন্য যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই দায়ী নয়, তাই তৃণমূল কংগ্রেস আরজি কর আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয় থেকেছে ৷ প্রতিবাদের সময় বিরোধীরা যে ভূমিকা নিচ্ছিল তার আমরা সমালোচনা করি । তাই আমরা চুপ ছিলাম । মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বিষয়টির সঠিক সমাধান । যেহেতু সেটা হয়ে গিয়েছে, এই অবস্থায় খোলাখুলি ভাবে প্রচারে আর বাধা নেই ।

এক্ষেত্রে সৌগত রায়ের আরও দাবি যে, বিরোধীরা আসলে আরজি কর ইসুর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ভালো কাজকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে । সেক্ষেত্রে ভোটের প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পগুলির দিকে ।

এবার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দলীয় অন্তর্ঘাত, মতানৈক্য এসবের ঊর্ধ্বে উঠেই লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন দলের শেষ নেতৃত্ব । এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে উত্তর 24 পরগনার দুই বিধানসভা আসন জেতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুজিত বোস, নির্মল ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী ও পার্থ ভৌমিকের মতো নেতাদের । যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক প্রার্থীর উপর ভরসা রাখা হয়েছে, তাই আরও বেশি করে জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতাদের সক্রিয় হতে বলা হয়েছে । এই অবস্থায় দেখার, এই কৌশলে শেষ পর্যন্ত ছয়-এ-ছয় হয় কি না তৃণমূলের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.