বর্ধমান, 10 মার্চ: বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে চলছিল জল্পনা । অবশেষে ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ 2014 ও 2019 সালে পরপর দু'বারের জয়ী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পরিবর্তে নতুন মুখের উপর ভরসা রাখল তৃণমূল ৷ টিকিট পেলেন ডাঃ শর্মিলা সরকার । পেশায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ । পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের বাসিন্দা হলেও আপাতত তিনি কলকাতা নিবাসী ।
তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল । 2019 সালে তিনি দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন । কিন্তু কয়েকমাস পরে ফিরে এসে দাবি করেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন । এরপর ফের তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিং মিছিলে দেখা যেতে শুরু করে । কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় । ফলে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে নতুন মুখ আসতে পারে বলে একটা আভাস ছিল। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসেবে ডাঃ শর্মিলা সরকারের নাম ঘোষণা করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয় ৷
2019 সালে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুনীল মণ্ডল । তিনি পেয়েছিলেন 6 লক্ষ 40 হাজার 834টি ভোট । বিপক্ষের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস পেয়েছিলেন 55 লাখ 1 হাজার 523টি ভোট । সুনীল মণ্ডল জিতেছিলেন 89 হাজার 311টি ভোটে । পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা রায়না, জামালপুর, কালনা, মেমারি, পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর ও কাটোয়া সবকটা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কাটোয়া বাদ দিয়ে বাকি ছ'টি কেন্দ্রে 2019 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এগিয়েছিলেন ।
তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, সুনীল মণ্ডলের জায়গায় চিকিৎসক শর্মিলা সরকার প্রার্থী হওয়ায় লড়াইটা অনেকটা সহজ হবে । কারণ এই সময় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন কাউকে প্রার্থী হিসেবে দরকার ছিল । যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের মোবাইল সুইচড অফ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ।
আরও পড়ুন :