বর্ধমান, 4 জুন: বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ক্লিন বোল্ড করে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে জিতলেন তিনি ৷ পুরোদস্তুর জয় নিশ্চিত হতেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বললেন, "বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের জয় এটা। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এখানে পাঠিয়েছিলেন। তাই এই কেন্দ্র থেকে জয়ের সার্টিফিকেট নেওয়ার পর আমি এখানকার মানুষের যা কিছু সমস্যা তা মেটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। বর্ধমানের রেলওয়ে ওভারব্রিজ গুরুত্ব দেওয়া যেমন আমার কাজ, তেমনই আবার দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পগুলির বিকাশের এবং বন্ধ কলকারখানা খোলার দাবিতে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে ৷"
1983 সালের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয় আর এই ভোটে জয়, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কতটা? ইটিভি ভারতের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, "সেটা ছিল একটা অন্য জয়। ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সেই জয় ছিল খুব জরুরি। আর এই জয়টা হচ্ছে অন্যরকম। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিদির লড়াইয়ের জয় এটা।"
2019 সালে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ ডাঃ মমতাজ সংঘমিতাকে 2400 ভোটে হারিয়েছিলেন দার্জিলিং ফেরত বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া । এই শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে পারেনি ঘাসফুল শিবির । 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করে শুধুমাত্র এই কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভার মধ্যে । তখন থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছিল শাসকদল ।
এবার এই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করেছিল রাজনৈতিক মহল । ভোট গণনার প্রথম থেকেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ডাকাবুকো নেতা দিলীপ ঘোষকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা 1983 সালে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ ৷ ভোট গণনার দিন সকাল থেকেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি । প্রথম থেকেই তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছিল, কত বেশি ভোটে লিড পাওয়া যায় সেই কথা । ত্রয়োদশতম রাউন্ডে এসে দেখা গেল তিনি প্রায় 1 লক্ষের বেশি হাজার ভোটে পিছনে ফেলে দিলেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিলীপ ঘোষকে। এই আসনে হেরে সাংসদের তকমাও হাতছাড়া হল বিজেপি'র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ৷