মেদিনীপুর, 7 মে: এবার অভিনবত্বের সঙ্গে স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন অভিনেত্রী তথা মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। কর্মী-সমর্থক ও কাউন্সিলরদের নিয়ে দলীয় পতাকা ছাড়াই প্রচারে বের হলেন তিনি। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করে অভাব-অভিযোগও শুনলেন তৃণমূল প্রার্থী ৷ একপ্রস্থ আলাপচারিতাও সারলেন সান্ধ্যকালীন প্রচারে ৷
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রচারের তৎপরতা। ডান-বাম তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্তা ব্যক্তি এবং প্রার্থীরা বড় বড় হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের নিয়ে প্রচার সারছেন। প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসছেন বড় ভিআইপি, অভিনেতা-অভিনেত্রী, নেতা-মন্ত্রি-সহ বিশিষ্ট মানুষজনও। কিন্তু এবার স্রোতের বিপরীতে একটু অন্যরকম প্রচার সারলেন মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। মঙ্গলবার জুন মালিয়া কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মেদিনীপুর শহরের মীর বাজারে হনুমান মন্দিতে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। তাঁর এই জনসংযোগও প্রচারে না ছিল তৃণমূলের কোন পতাকা। ছিল না ব্যানার-ফেস্টুনও।
তিনি তারপরও বেরিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছলেন। জনসংযোগ করলেন। ভোট দেওয়ার আবেদনও করলেন। প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর শহরের পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও। মূলত এদিন তৃণমূল প্রার্থী মেদিনীপুর শহরের মীর বাজার থেকে বড় বাজার পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এই প্রচার করেন। জুন মালিয়াকে কাছে পেয়ে অনেকেই সেলফি তোলেন। অনেকেই হাত মেলান। অনেকেই আবার নিজের সুবিধে অসুবিধার কথাগুলো জানান। বড়বাজার মিরবাজারের ব্যবসায়ী মহল একপ্রস্থ দেখা করেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সঙ্গে।
এদিন এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বলেন, "প্রচারের অভিনবত্ব বলে কিছু নেই। মূলত গত তিন বছর ধরে এখানকার আমি বিধায়ক। এখানকার মানুষের আমার চেনা জানা এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে। তাই তাদের খোঁজ খবর নিতে হঠাৎ এভাবে বেরিয়ে পড়া।" তিনি এও বলেন, "আমি একটি অন্য কর্মসূচিতে ছিলাম। সেখান থেকে আসতে দেরি হওয়ায় নিজে হঠাৎই বেরিয়ে পড়েছি এই শহরের মানুষের খোঁজ খবর নিতে।"
আরও পড়ুন
'পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি'; নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর