কলকাতা ও দিল্লি, 27 জুলাই: নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করা নিয়ে বিতর্কে জড়াল কেন্দ্র ও রাজ্য ৷ এই ঘটনায় মোদি সরকারকে 'মাইক বন্ধ সরকার' বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল ৷ পালটা তৃণমূল সুপ্রিমোকে 'মিথ্যাবাদী' বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷
নীতি আয়োগের বৈঠকে কী বলেছিলেন মমতা ?
মমতা বলেন, "রাজ্যগুলোকে যদি আপনারা পঙ্গু করে দেন, তাহলে কেন্দ্রও তো আগামিদিনে পঙ্গু হয়ে যাবে ৷ এই বিষয়ের গুরুত্বটা বোঝা উচিত ৷ এই কথাগুলো বলছিলাম, দেখলাম বারবার বেল বাজাচ্ছে ৷ রাজনাথ সিং সভাপতিত্ব করছিলেন ৷ একপাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ অন্যপাশে ছিলেন অমিত শাহ ৷ মনে হয় বলে দিয়েছিলেন ৷ আমার বক্তব্য যেই পাঁচ মিনিট হবে, তখনই থামতে বলা হয় ৷ আমি বলি, ঠিক আছে থামছি ৷ আপনারা শুনতে চান না তো, চললাম ৷ আমি বয়কট করে চলে এসেছি ৷ তার কারণ হচ্ছে তোমরা বাংলার বঞ্চনার কথা শুনতে চাও না ৷"
নির্মলা সীতারমনের পালটা দাবি
মমতার দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, "প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বক্তব্য বলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেটা স্ক্রিনে ভেসে উঠছিল ৷ তাঁদের বক্তব্যের শেষে বা সময় শেষ হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজের মাইকের উপরে একটি আওয়াজ করছিলেন, যাতে বোঝা যাচ্ছিল যে এবার বক্তার সময় শেষ হয়েছে ৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই এমনটা করা হয়েছিল ৷"
মমতা 'মিথ্যা' বলছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে যে দাবি করেছেন, তা অসত্য ৷ পালটা এই দাবি করে নির্মলা সীতারমন বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সংবাদমাধ্যমকে বলছেন বা সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে জানাচ্ছেন যে, তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ এই কথা সর্বৈব মিথ্যা ৷ সব মুখ্যমন্ত্রীদেরই বলতে দেওয়া হয়েছিল ৷ এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন, যা সত্যি নয় ৷"
তিনি আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন জানানো হয়, তাঁর সময় শেষ হয়ে এসেছে ৷ তিনি অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিতে পারতেন ! যেমন অনেক মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন ৷ কিন্তু তিনি সেটা না করে এই অজুহাতে বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন ৷"
তৃণমূলের প্রতিবাদ
এদিকে সঙ্গে তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, "দিল্লির জমিদাররা কীভাবে বাংলাকে স্তব্ধ করে দিতে চায় প্রতি পদে পদে, এটি তার আরও একটি উদাহরণ। বাংলার তহবিল আটকে রাখা এবং বাজেটে আমাদের বঞ্চিত করেও যথেষ্ট হয়নি ৷ বাংলার মানুষ দেখছে।"