চুঁচুড়া, 12 মে: লোকসভা নির্বাচনের আগে লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের 'সন্ধান চাই', 'নিখোঁজ' বলে পোস্টার পড়ল চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। সেই নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। এর আগেও হুগলির বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। পান্ডুয়া, চন্দননগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছিল। রবিবার দেখা গেল লকেটের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া স্টেশন রোড, ফার্ম সাইড রোড-সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার। এনিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে তৃণমূল-বিজেপি।
হুগলিতে ভোটের বাকি আর মাত্র সাত দিন। তার আগে নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে জল্পনা চরমে। বারবার তৃণমূলের অভিযোগ ছিল সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সংসদীয় এলাকায় দেখা যায় না। এই অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও ছিল। সেই ক্ষোভ লকেট প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিজেপির অন্দরে প্রকাশ পায়। দিন দুয়েক আগে বিজেপি হুগলি জেলা অফিসে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। শনিবার বিজেপি বাঁশবেড়িয়ার দুই পদাধিকারী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরই এদিন পোস্টারে পরে ৷ সেই পোস্টারে লেখা ছিল, "সন্ধান চাই, নিখোঁজ, লকেট মানে পালাই।জানে হুগলি জানে সবাই। শেষ দেখা গিয়েছে চুঁচুড়ায় 2021-এ 18 হাজার ভোটে হারতে।"
এনিয়ে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছে। যদিও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, "লকেটকে দেখা যায় ৷ একেবারেই দেখা যায় না এটা ঠিক নয়। ভোট এলে দেখা যায়। আর তৃণমূলের কেউ এই সব করে না।" বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, "যারা অন্ধ তারা দেখতে পায় না, তারাই এই পোস্টার মেরেছে। আমার মনে হয় তাদের চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার। বিজেপিই জিতবে। মোদি 400 পার করবে। আজ মোদির সভায় লোক দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন
অশান্ত সন্দেশখালি, বিধায়কের সামনেই তৃণমূল নেতাকে 'মার' বিজেপির মহিলা কর্মীদের