ETV Bharat / state

ষড়যন্ত্র করেই খুন ! দাবি ইসলামপুর শুটআউটে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী'র - Islampur Shootout - ISLAMPUR SHOOTOUT

TMC Leader Killed in Islampur Shootout: আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব ৷ তুমি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দাও ৷ এই কথা বলে তিনি বেরিয়ে গেলেন ৷ আর ফিরলেন না ৷ কাঁদতে কাঁদতে এমনটাই বললেন ইসলামপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ৷

Islampur Shootout
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামীকে খুনের অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 14, 2024, 7:25 PM IST

রায়গঞ্জ, 14 জুলাই: শনিবার রাতে ইসলামপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতা বাপি রায়ের ৷ এই খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা লিপি বিশ্বাস (রায়) ৷ তিনি বলেন, "আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্রভাবে খুন করা হয়েছে । ওই বৈঠকে তো আরও অনেক সদস্যরা ছিল তাদের উপর আক্রমণ হল না ৷ আমার স্বামীর উপরে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল ! আমি সিবিআই তদন্ত চাই ৷"

স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর (ইটিভি ভারত)

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা ঠিকাদারির কাজ করতেন ৷ নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী'র দাবি, স্বামীর শত্রু থাকতে পারে ৷ কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। লিপি বিশ্বাস জানান, শনিবার হোটেলে দলীয় বৈঠক ছিল ৷ সেখানে বাপি রায়কে ফোন করে ডাকা হয়েছিল । সন্ধ্যার দিকে বাপি চা খেয়ে সেখানে যান তিনি ।

মৃতের স্ত্রী বলেন, "আমার স্বামী সন্ধ্যার দিকে শুয়েছিল ৷ হঠাৎ করে মহম্মদ সাজ্জাদের ফোন আসে ৷ তখন আমাকে বলল, আমি গুপ্তা হোটেলে যাচ্ছি । তুমি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দাও ৷ আমাকে ওরা ফোন করে ডাকছে ৷ বেরনোর আগে আমাকে বলে, আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব ৷ এ কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল আমার স্বামী ।" তাঁর দাবি, বাপি রায়ের গলায় সোনার চেন ও মোবাইলটাও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা ৷ স্বামীর কানে, চোখে, বুকে গুলি করা হয়েছে বলে জানান লিপি বিশ্বাস ।

অপরদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "পুলিশের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । পুলিশ তদন্তে অনেকটা এগিয়েছে । মনে হয় না এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে । তদন্তে সবটাই উঠে আসবে । সিবিআই তদন্তে আমাদের কোনও আপত্তি নেই । আমাদের দাবি যারা মূল অপরাধী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক ৷ সেকথা পুলিশ সুপারকে বলেছি ।"

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি । ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস টেলিফোনে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ইসলামপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে কয়েকজন খাওয়াদাওয়া করছিল । সেইসময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে । একজন আহত হয়েছেন । তাঁর চিকিৎসা চলছে ।

পুলিশ সুপারের দাবি, ঘটনা জানার পর পুলিশ দ্রুত অ্যাকশন নিয়েছে । আমরা সবদিক বিচার করে তদন্ত শুরু করেছি । এই ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে, কারা যুক্ত, এই হামলাকারীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্যের অপরাধীদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তবে এটুকু বলা যায়, আমরা ওই হামলাকারীদের খোঁজার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছি । তল্লাশি চলছে । তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি বলা যাবে না ।"

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বৈঠকে বসেছিলেন । ঠিক সেই সময় দুষ্কৃতীর দল এসে প্রকাশ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুড়ি ছোড়ে বলে অভিযোগ । গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা বাপি রায় এবং মহম্মদ সাজ্জাদ । দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাপি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা । সাজ্জাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ।

রায়গঞ্জ, 14 জুলাই: শনিবার রাতে ইসলামপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতা বাপি রায়ের ৷ এই খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা লিপি বিশ্বাস (রায়) ৷ তিনি বলেন, "আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্রভাবে খুন করা হয়েছে । ওই বৈঠকে তো আরও অনেক সদস্যরা ছিল তাদের উপর আক্রমণ হল না ৷ আমার স্বামীর উপরে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল ! আমি সিবিআই তদন্ত চাই ৷"

স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর (ইটিভি ভারত)

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা ঠিকাদারির কাজ করতেন ৷ নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী'র দাবি, স্বামীর শত্রু থাকতে পারে ৷ কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। লিপি বিশ্বাস জানান, শনিবার হোটেলে দলীয় বৈঠক ছিল ৷ সেখানে বাপি রায়কে ফোন করে ডাকা হয়েছিল । সন্ধ্যার দিকে বাপি চা খেয়ে সেখানে যান তিনি ।

মৃতের স্ত্রী বলেন, "আমার স্বামী সন্ধ্যার দিকে শুয়েছিল ৷ হঠাৎ করে মহম্মদ সাজ্জাদের ফোন আসে ৷ তখন আমাকে বলল, আমি গুপ্তা হোটেলে যাচ্ছি । তুমি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দাও ৷ আমাকে ওরা ফোন করে ডাকছে ৷ বেরনোর আগে আমাকে বলে, আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব ৷ এ কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল আমার স্বামী ।" তাঁর দাবি, বাপি রায়ের গলায় সোনার চেন ও মোবাইলটাও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা ৷ স্বামীর কানে, চোখে, বুকে গুলি করা হয়েছে বলে জানান লিপি বিশ্বাস ।

অপরদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "পুলিশের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । পুলিশ তদন্তে অনেকটা এগিয়েছে । মনে হয় না এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে । তদন্তে সবটাই উঠে আসবে । সিবিআই তদন্তে আমাদের কোনও আপত্তি নেই । আমাদের দাবি যারা মূল অপরাধী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক ৷ সেকথা পুলিশ সুপারকে বলেছি ।"

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি । ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস টেলিফোনে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ইসলামপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে কয়েকজন খাওয়াদাওয়া করছিল । সেইসময় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে । একজন আহত হয়েছেন । তাঁর চিকিৎসা চলছে ।

পুলিশ সুপারের দাবি, ঘটনা জানার পর পুলিশ দ্রুত অ্যাকশন নিয়েছে । আমরা সবদিক বিচার করে তদন্ত শুরু করেছি । এই ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে, কারা যুক্ত, এই হামলাকারীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্যের অপরাধীদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তবে এটুকু বলা যায়, আমরা ওই হামলাকারীদের খোঁজার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছি । তল্লাশি চলছে । তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি বলা যাবে না ।"

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বৈঠকে বসেছিলেন । ঠিক সেই সময় দুষ্কৃতীর দল এসে প্রকাশ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুড়ি ছোড়ে বলে অভিযোগ । গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল নেতা বাপি রায় এবং মহম্মদ সাজ্জাদ । দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাপি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা । সাজ্জাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.