কলকাতা, 29 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ড থেকে নবান্ন অভিযান, কার্যত সমস্ত দিক থেকেই ব্যাকফুটে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। পিছিয়ে নেই রাজ্য পুলিশও। সোশাল মিডিয়া কর্মীদের একেবারে তুলোধোনা করে দিচ্ছেন সমাজের বেশকিছু সাধারণ মানুষ। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কার্যত স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, "পুলিশ তুমি চিন্তা করো তোমার মেয়েও হচ্ছে বড় ৷" দিন কয়েক ধরে যখন একেবারে এই প্রকারের স্লোগানে ভরে গিয়েছে, ঠিক সেই সময় সোশাল মিডিয়ায় পালটা স্লোগান রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের।
পুলিশের লেখা, স্লোগান হল, "পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড় ৷" জলপাইগুড়ির বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যেই ফেসবুক পেজে এই পালটা স্লোগান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আইপিএস আধিকারিকদের ফেসবুকে দেখা গিয়েছে এই স্লোগান।
- এবিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি শ্যাম সিং, ইটিভি ভারতকে বলেন, "নিজ নিজ সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করতে হয় ৷ প্রত্যের দায়িত্ব সেটা ৷ পুলিশের একার সব দায়িত্ব নয় ৷ পুলিশকর্মীরাও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।"
- এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক যুগ্ম নগর পাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক বলেন, "পুলিশ এবং সাধারণ মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক এই প্রকারের হওয়া উচিত নয়। যেহেতু বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং দিনের পর দিন এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণের দিকে চলে যাচ্ছে, ফলে পুলিশকর্মীরা একজোট বেঁধে এই প্রকারের একটি বার্তা দিতে চেয়েছি।"
গত 27 তারিখ নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশন আইপিএস আরিশ বিলালের সঙ্গে কর্তব্যরত অবস্থায় বাবুঘাটের কাছে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেলের ইনচার্জ সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। দেবাশিস চক্রবর্তী যখন গাড়িতে বসে ডিউটি করছিলেন সেই সময় একদল লোক এসে তাঁর গাড়ির কাচে ইট মারে। সেই ইট তার বাঁ-চোখে লাগে। তৎক্ষণাৎ রক্ত ঝরতে থাকে। সেই ঘটনার পর থেকে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের সমস্ত পুলিশ আধিকারিক তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে দেবাশিস চক্রবর্তীর রক্তাক্ত ছবিকে ব্যবহার করেছে। রাজ্য পুলিশের আইপিএস গৌরব শর্মা, কলকাতা পুলিশের গোপাল ট্রাফিক রূপেশ কুমার-সহ কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের একাধিক এইভাবে ফেসবুকে প্রতিবাদ করেছেন।