বানতলা, 17 মার্চ: লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার এক গুদামে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র মজুত ছিল ৷ রবিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল সেই গুদাম ৷ এদিন আগুন লাগার পর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 10টি ইঞ্জিন। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, এখনও তা স্পষ্ট নয়। ওই গুদামে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র একেবারে ঠাসা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভস্মীভূত হয়ে যায় আশেপাশের আরও দু'টি গুদাম। অবশেষে কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
তবে অগ্নিকাণ্ডের পর লেলিহান শিখা দ্রুত বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ৷ তাঁদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় গুদামের ভিতরে কেউ ছিল না বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় দমকল বাহিনী ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানা এলাকার ওই প্লাস্টিকের গুদামে দাহ্য বস্তু মজুত ছিল ৷ তাই মুহূর্তের মধ্যে আগুন বিশাল আকায় নেয় ৷ ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে ৷
কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়। ছোটাছুটি শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। কারখানা থেকে বাড়িগুলি খুব দূরে নয়। স্বভাবতই গ্রামের ভিতর এমন আগুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ শেষমেশ বিকাল গড়িয়ে সন্ধের সময় বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ৷ ঠিক কী কারণে এই আগুন লেগেছে, সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি, তবে পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দিন তিনেক আগে গভীর রাতে ধূপের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে ৷ দমকলের 6টি ইঞ্জিন ও 5টি পাম্প বসিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে ৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়ে কারখানার প্রায় 2 হাজার শ্রমিক ৷ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এলাকার সাংসদ তথা অভিনেতা দেব ৷
আরও পড়ুন: