গ্যাংটক, 20 অগস্ট: ভারী বৃষ্টির জেরে সিকিমের সিংথামে ভয়াবহ ধস নামল । পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হল তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প । ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায় । ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত পাহাড়বাসী । ভয়াবহ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই আরও বেশি ছড়িয়েছে আতঙ্ক ।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়ে ৷ যার কারণে মঙ্গলবার সিকিমের সিংথামের ভালুটারে ওই ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে । যদিও ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি । তবে পাওয়ার হাউজ, ইলেকট্রিক স্টেশন-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ।
এই বিষয়ে এনএইচপিসির শিলিগুড়ির রিজিওনাল ডিরেক্টর (টিএলডিপি 5 ও 6-এর অধিকর্তা) একে দাস বলেন, "ধসের কারণে বড় ক্ষতি হয়েছে । এখনও উদ্ধারকাজ চলছে ৷ কত ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ।"
আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে সিকিম । সম্প্রতি হড়পা বান, তারপর এক নাগাড়ে ধসের জেরে বিধ্বস্ত গোটা সিকিম । এখনও বন্ধ রয়েছে বাংলা-সিকিম লাইফলাইন 10 নম্বর জাতীয় সড়ক । এর উপরই আবারও ধস ! প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছে না সিকিমের । এ দিন সিকিমের সিংথামের কাছে ভালুটারে পাঁচ নম্বর এনএইচপিসির তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (TLDP) পাওয়ার হাউস এলাকায় ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটেছে । 510 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই জাতীয় সড়কে ধস নেমেছিল । যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় 10 নম্বর জাতীয় সড়ক । ধসে প্রায় 100 মিটার রাস্তা চলে গিয়েছিল খাদে । প্রায় একমাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক । প্রথমে তিস্তার প্রবল স্রোতে মাল্লি, তিস্তাবাজার-সহ একাধিক জায়গায় 10 নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এরপর টানা বৃষ্টির জেরে শুরু হয় একাধিক জায়গায় ধস । সেলফিদাড়া ও বিরিকদাড়া-সহ একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটে ৷ যার জেরে ওই জাতীয় সড়ক দিয়ে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন ।