মালদা, 28 অক্টোবর: সাতদিন আগে বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ৷ চারিদিকে খোঁজখবর চালিয়েও তার সন্ধান পাননি অভিভাবকরা ৷ মেয়েকে ফিরে পেতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা ৷ নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা ৷ কিন্তু আজও মেলেনি উত্তর ৷ নাবালিকার কাছে কোনও মোবাইল ফোন না থাকায় তল্লাশিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বাংলা-বিহার সীমানা এলাকার খোকড়া গ্রামে ৷
নিখোঁজ কিশোরীর নাম রোশনি খাতুন ৷ বয়স 15 বছর ৷ স্থানীয় ভিঙ্গল হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে ৷ বাবা ইমরান আলি পেশায় শ্রমিক ৷ তিনি বলেন, "20 অক্টোবরের ঘটনা ৷ সেই দিন পাশের বাগমারা গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল ৷ স্ত্রীকে নিয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম ৷ মেয়ে বাড়িতে আমার মায়ের সঙ্গেই ছিল ৷ সন্ধ্যা 6টা নাগাদ মা ফোন করে আমাকে জানান, মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ প্রথমে ভেবেছিলাম, ও হয়তো আশেপাশে কারও বাড়ি গিয়েছে ৷ আমি মাকেও সেকথা জানাই ৷ কিন্তু খানিক পর ফের ফোন আসে ৷ এবার জানতে পারি, আশেপাশের কোনও বাড়িতেই মেয়ে নেই ৷ সেকথা শুনেই বাড়ি ফিরে আসি ৷ চারদিকে খোঁজখবর শুরু করি ৷ কিন্তু কোথাও মেয়ের হদিশ পাইনি ৷ দু’দিন এভাবেই কেটে যায় ৷ তিনদিনের মাথায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় মেয়ের নামে নিখোঁজ ডায়ারি করি ৷"
ইমরানের অভিযোগ, থানায় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে যেতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু টালবাহানা করে সেই কাজ তিনি এড়িয়ে যান ৷ তিনি বলেন, "মেয়ের খোঁজে আমরা প্রতিদিন থানায় যাচ্ছি ৷ কিন্তু এখনও কোনও খোঁজ পাইনি ৷ উলটে পুলিশ আমাদেরই খোঁজ চালাতে বলছে ৷ মেয়ে কোথায় আছে ? কেমন আছে ? আদৌ বেঁচে আছে কি না ? কিছুই বুঝতে পারছি না ৷"
ইমরানের এক প্রতিবেশী লালু শেখ বলেন, "রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মেয়েটি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির সন্ধান পায়নি ৷ থানায় একটা নিখোঁজ ডায়ারি করা হয়েছে ৷ কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ৷ ওই মেয়েটির সঙ্গে কোনও ছেলের যোগাযোগ ছিল কি না, আমার জানা নেই ৷ এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তাও বলতে পারব না ৷”
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, "মেয়েটির খোঁজ পেতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ ওর সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায় তল্লাশিতে একটু সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে মেয়েটির নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকে এলাকার এক যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ দু'টি ঘটনায় কোনও যোগ সূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"