কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য বাজেট নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেন, "রাজ্যের অর্থনীতির বারোটা বাজানোর বাজেট এটা।" বৃহস্পতিবার রাজ্য 2024-25 অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে এমনই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রকল্পের গাজর ঝুলিয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা বললেও ভুল হয় না ৷
এদিন বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। জানান, বাজেটে নতুন যে সমস্ত প্রকল্পগুলির ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হলে লাগু হবে না। আর আগামী অর্থবর্ষ অর্থাৎ চলতি বছরের এপ্রিল মাসের আগে নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে না। তাই নয়া প্রকল্পের প্রলোভন দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ভোট আদায়ের কৌশল এই বাজেট । এটা আসলে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আতঙ্ক। ভয় পেয়েছে সরকার।
রাজ্যের অর্থনীতি সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি এই বাজেটে ৷ এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। এই বাজেটের কর্মসংস্থান, শূন্যপদে নিয়োগ, রাজ্যে ছোট ও মাঝারি শিল্পরের বিকাশের কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও দিশাই দেখাতে পারেনি বাজেট বলে কটাক্ষ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
লক্ষ্মীর ভান্ডার 500 টাকা থেকে 1000 টাকা করা হয়েছে। এই বিষয় শুভেন্দু অধিকারী সওয়াল করেন, যে অন্যান্য রাজ্যে যত টাকা দেওয়া হয় এই রাজ্যের মহিলাদের সেই অর্থ দেওয়া হচ্ছে না কেন? মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদার দিক থেকে দেখতে গেলে এই 1000 টাকা কিছুই নয়। এসটি ও এসসি মহিলাদেরও বঞ্চিত করা হয়েছে । কারণ প্রথমে বলা হয়েছিল যে সাধারণ মহিলাদের থেকে জনজাতি ভুক্ত মহিলারা দ্বিগুণ অর্থ পাবেন। কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে মাত্র 200 টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার যে এই সরকার এসটি-এসসি মহিলাদের প্রতি নেতিবাচিক মনোভাব পোষণ করে। এমনটাই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর ৷
শুভেন্দু আরও জানান, এই বাজেটে সিভিক পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ভিলেজে পুলিশ ও গ্রিন পুলিশদের হাজার টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে তাঁদের টাকা বাড়ানো হল। 2012 সালে 5000 জন কে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাহলে এর আগে একটা টাকাও বৃদ্ধি করা হয়নি কেন? বিজেপি মনে করে সম কাজে সমবেতন দেওয়া উচিত। সিভিক ভলান্টিয়ারদের অন্তত 20 হাজার টাকা দেওয়া উচিত। কারণ তাঁরা পুলিশদের সমান কাজ করে।
পাশাপাশি, ডিএ নামক বিষয়টিকে সামনে রেখে রাজনীতি করা হয়েছে। একাধিক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। শিল্পের কোনও দিশা নেই । বড় শিল্প আনার বিষয় একটি কথাও বলা হয়নি বাজেটে। এমনটাই দাবি করে পদ্ম শিবির। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ভোট নেওয়া। সংখ্যালঘুদের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ নেই। তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু বাবু।
আরও পড়ুন: