পূর্বস্থলী, 7 মে: "নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলে এই হাওয়াই চটি জেলে যাবে।" এই ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকালে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে পূর্বস্থলীতে বিজয় সংকল্প সভামঞ্চে ঝাঁঝালো ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতার নাম না করে বলেন, "পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি ৷ আসলে সব খেয়েছে হাওয়াই চটি । তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে হাওয়াই চটি জেলে যাবে ৷" পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়কেও দুর্নীতিগ্রস্থ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, "তৃণমূল মায়েদের ভয় দেখাচ্ছে। এখানে একজন মন্ত্রী আছেন তাঁর গুণের শেষ নেই । তাঁকে বলা হয় মিঠা শয়তান। তিনি ভাজা মাছ উলটে খেতে জানেন না। এই মন্ত্রী কিন্তু প্রচন্ড পিঠা খেতে ভালোবাসেন। এবার আপনারা বুঝে নিন।"
তিনি জানান, ওই মন্ত্রী ও তাঁর চেলারা বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেড়ে নেবেন। যেন ওদের টাকা। এটা সরকারি টাকা। উলটে আমরা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে অন্নপূর্ণা প্রকল্পে তিন হাজার টাকা করে দেব। এখানকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বিরাট মাতব্বর। এই তপন বাবুর মেয়ের সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। এই চোরেদের এবার শিক্ষা দিতে হবে। এরপরেই শুভেন্দুর কটাক্ষ, "তৃণমূল মানে চোর ধর। পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি সব খেয়েছে হাওয়াই চটি। নরেন্দ্র মোদি কাউকে ছাড়বেন না। বাকি অর্ধেক চোর এবার জেলে যাবে। তৃণমূল হল গরুর গাড়ির হেডলাইট।"
এসএসসির চাকরি চুরি নিয়ে শুভেন্দু জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস না দিলে যোগ্য অযোগ্য বাছাই হতো না। তিনি বলেন, "শাহজাহানের মতো লোকেদের সব জায়গায় ছড়িয়ে রেখেছে। তাই এবার প্রতিশোধ নিতে হবে। সন্দেশখালির বদলা নিতে হবে আপনাদের। আর কয়লা ভাইপোকে আমার উপরে ছেড়ে দিন। কয়লা ভাইপোকে সাইজ আমি করবো । কেউ আবাসের বাড়ি পায়নি, একশো দিনের টাকা চুরি করেছে। তৃণমূল গেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবেন। বিরাট লম্বা লিস্ট আছে আমাদের কাছে।"
শুভেন্দু অভিযোগ করে জানান, আট হাজার স্কুল বন্ধ হয়েছে অথচ 21 হাজার মদের দোকান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি চুরি বাদ দিন, হাইকোর্টে যোগ্যদের নাম দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যোগ্যদের পাশে বিজেপি দাঁড়াবে ৷ তার জন্য লিগাল সেল তৈরি হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে উনিশ হাজার যোগ্য ছিল। বাকিটা ভুয়ো। নরেন্দ্র মোদি না বললে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই হতো না।"
আরও পড়ুন
1. মুদিখানার দোকানদার নাকি সরকারি কর্মী! তাঁর নামে ভোট পড়ল পোস্টাল ব্যালটে
2. বোতাম টিপলেই ভোট যাচ্ছে বিজেপিতে, কালিয়াচকে বদলানো হল ইভিএম
3. ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ, বিধায়ক হামিদুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা কমিশনের