সিউড়ি, 14 অক্টোবর: সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা ৷ অনশন থেকে কর্মবিরতি, বিভিন্নভাবে চলছে আন্দোলন ৷ যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর ৷ সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য রাজ্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
সোমবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে এই সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি ৷ শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্যের 90 শতাংশ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল ৷ তাই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির দাবি, দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক ৷
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না ৷ লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা ৷ বিএমওএইচ, সিএমওএইচ ও স্বাস্থ্য ভবনে এই নিয়ে আন্দোলন করবেন ৷ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন হবে বলে তিনি জানান ৷
সোমবার বীরভূম জেলা বিজেপির ডাকে সিউড়িতে বিজয়া সম্মীলনীতে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ৷ সেখানে দলের সকলকে ও মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানান শুভেন্দু ৷ এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি ।
সেখান থেকে 'কার্নিভাল বয়কটের' ডাক দেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আগামিকাল কার্নিভাল বয়কট ৷ কারণ, আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে দুর্গাপুজোয় কোথাও কার্নিভালের প্রভিশন নেই ৷ এর সঙ্গে হিন্দু, মা দুর্গা, শাস্ত্রর কোনও সম্পর্ক নেই ৷ যিনি শিল্প তাড়িয়েছেন, তিনি কার্নিভালের মধ্য দিয়ে নিজের মহিমাকে প্রচারের ব্যবস্থা করেছেন সরকারি কোটি কোটি টাকায় ৷"
তিনি আরও বলেন, "আগামিকাল কিছু বিশিষ্ট নাগরিক কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দিয়েছে । সেটা কলকাতা পুলিশ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে ৷ আমি ও আমরা সেই মিছিলে থাকব । দলীয় পতাকা ছাড়া থাকব ৷ মশাল, শঙ্খ, জাতীয় পতাকা নিয়ে থাকব ৷ আমি কলকাতার সর্বস্তরের মানুষকে আবেদন করব আসুন ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্জন করুন কার্নিভাল, হাঁটুন মশাল মিছিলে । মায়েরা শঙ্খ বাজিয়ে মাঠে নামুন৷ আর স্লোগান দিন, আরজি কর থেকে জয়নগর, এবার পালা আপনার ঘর ৷ আপনার ঘরে যাতে ধর্ষক ঢুকতে না পারে, তার জন্য মাঠে নামুন ৷"