কলকাতা, 8 অগস্ট: বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যের বুদ্ধিজীবী সমাজকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ 22 শে শ্রাবণ ৷ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ৷ এই উপলক্ষ্যে বুধবার রাজ্য বিজেপি সাংস্কৃতিক সেলের পরিচালনায় সল্টলেকে দলীয় দফতরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন শুভেন্দু অধিকারী ।
এরপরেই বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "আমরা অপেক্ষা করে আছি যারা রবীন্দ্রভক্ত সেজে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্ছিষ্ট খেয়ে, বুদ্ধিজীবী থেকে নাম বদলে ভাতাজীবিতে পরিণত হয়েছে, তারা কবে রবীন্দ্রসদন থেকে একটি মোমবাতি মিছিল করবেন ! আর কবে আমরা অন্তত সেই পদযাত্রার পিছনে হাঁটার আহ্বান পাব ।" তাঁর কথায়,"খুব দুঃখের বিষয় যে আজ 22 শ্রাবণ সারা বিশ্বে পালিত হলেও বাংলাদেশে কবিগুরু মূর্তি ভাঙা হচ্ছে । 'অর্বাচীন 'বর্বর' 'উগ্র' 'মৌলবাদী' সমর্থক এবং যাদের নত্য সত্য জ্ঞান নেই, এই ধরনের সমস্ত মানুষ বিশ্বকবীর মূর্তি ভাঙছে ৷"
বাংলাদেশে যখন অশান্তি শিখরে পৌঁছে যায় তখনই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী । বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে । এই বিষয় আরও বিস্তারিতভাবে বিরোধী দলনেতা জানান, "জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ । তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের হিন্দু মন্দির এবং হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি । এই বিষয় যাতে ভারত সরকার অবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করে, সেই আবেদন জানানো হয়েছে তাঁকে । এর পাশাপাশি তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং জানান যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করে এই বিষয় যথাযথ পদক্ষেপ করবেন ।"
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "যে সিএএ'র বিরোধীতা করা হয়েছিল সেই সিএএ এখন প্রাসঙ্গিক । কতটা দূরদৃষ্টি নিয়ে ভারত সরকার সেদিন সিএএ বানিয়েছিল ৷ যে হিন্দুরা এর বিরোধিতা করেছিলেন, আজ তাঁদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সিএএ আইনের প্রয়োজনীয়তা কতটা । বাংলাদেশের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান । আমি বাইরের দেশের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব না । তবে এটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে হত্যা করার সময়ও পাকিস্তান প্রেমীদের হাত ছিল। এখন আর এটা ছাত্র আন্দোলনের জায়গায় নেই । মন্দির ভাঙো, হিন্দু ভাগাও আর ভারত বিদ্বেষী এই তিনটি মন্ত্র চলছে ওখানে ।"