আলিপুরদুয়ার, 2 নভেম্বর: ফালাকাটায় নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাদের সঙ্গে জানোয়ারের তুলনা করাও ঠিক হবে না। তাতেও জানোয়ারদের অপমান করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, "এখানকার গ্রামের লোকেরা আইন হাতে তুলে নিয়েছে কারণ, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সরকারের উপরে মানুষের আস্থা নেই ৷"
এখনও আরজি কর হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটেনি। তারপরই আলিপুরদুয়ার জেলা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুক্রবার বিকালে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে আসে ফালাকাটা থানার পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শনিবার আদালতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্য এক অভিযুক্তকে পেশ করে ৷ আদালত ওই অভিযুক্তকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরই এলাকায় শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। গ্রামের সমস্ত মানুষ জড়ো হয়ে ধৃত ওই ব্যক্তির ফাঁসির দাবিতে 'উই ওয়ান জাস্টিস' স্লোগানও দেয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফালাকাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় ৷
অন্যদিকে, এদিনই আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের প্রচারে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ফালাকাটায় ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন।
পরে শুভেন্দু অধিকারি বলেন, "ওই নাবালিকার পরিবার যদি আইনি লড়াই করে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আমি এসেছিলাম। শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমার মনে হয়েছে ময়নাতদন্ত যে পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। ওই নাবালিকার পরিবার যেমন চাইবে আমরা সেভাবেই সাহায্য করব। এটা জঘন্য অপরাধ এবং এই লোকগুলোর মধ্যে মনুষ্যত্ব বিবেক বুদ্ধি বলে কিছু আছে আমার মনে হয় না। এদের সঙ্গে জানোয়ারের তুলনা করাও ঠিক হবে না। তাতেও জানোয়ারদের অপমান করা হবে।"