জলপাইগুড়ি, 1 এপ্রিল: ঝড়ে জখম গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাসপাতালে এসে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব ভালো কাজ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশংসা করেন বিরোধী দলনেতা ৷
সোমবার বাগডোগরা থেকে সোজা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী । প্রায় আধঘণ্টা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা ঝড়ে জখম গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিভাগ থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সরা খুবই ভালো কাজ করছেন । সারা রাত জেগে তাঁরা কাজ করছেন । এনজিওদের অনুরোধ করব কাজ চালিয়ে যেতে ।’’ হাসপাতাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা বলে তিনি বেরিয়ে যান ৷
এদিকে হাসপাতালের আউরডোরের গেট বন্ধ থাকায় শুভেন্দু বের হওয়ার সময়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করেন । তাঁদের অভিযোগ, রাজনীতি করতে এসেছেন শুভেন্দু । রোগীদের সমস্যা হচ্ছে ৷ তাঁদের সঙ্গে পুলিশের দীর্ঘক্ষণ বচসা হয় ৷ পুলিশের তরফে রোগীদের অন্য গেট দিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয় ৷ তার পরও আউটডোরের গেট কেন বন্ধ, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তাঁদের তরফে ৷
বিক্ষোভকারীদের একজন সনৎ গুহ বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম ওপিডি-তে ৷ প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ৷ গেট বন্ধ থাকায় আটকে ছিলাম ৷ তাই জানতে চেয়েছিলাম যে গেট কেন বন্ধ ? কিন্তু কোনও সদুত্তর পাইনি ৷ পরে শুনলাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন ৷ ওঁর এই সময়ে আসা উচিত হয়নি ৷ পরে আসতে পারতেন ৷ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রাতে এসেছিলেন, যাতে মানুষের সমস্য়া না হয় ৷’’
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, "ঝড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে । চিকিৎসা চলছে সকলের । তবে আউরডোর বন্ধ ছিল কি না জানা নেই ।"
আরও পড়ুন: