মেদিনীপুর, 19 জুন: বিজেপি নেত্রী আক্রান্তের ঘটনায় কেশিয়াড়ির বিডিওর গ্রেফতারি দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর অভিযোগ, কেশিয়াড়ির বিডিও বৈঠক করার নামে ডেকেছিলেন বিজেপি নেত্রীকে । এদিন আক্রান্ত বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী নেত্রী মৌমিতা সিংহকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যান তিনি ৷
এদিন দুপুর সওয়া তিনটে নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যান শুভেন্দু । তিনি কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী মৌমিতা সিংহকে দেখতে গিয়েছিলেন । তখনই এলাকার তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শিটের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু । তিনি বলেন, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে তাঁদের নেত্রীকে । আর এই ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন তৃণমূল সম্পাদক কল্পনা শিট ।
শুভেন্দুর কথায়, "কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডিজিপিকে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ কিন্তু ওখানে জানালে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এটাও আমরা জানি । তবে কী করলে কেশিয়াড়ির বিডিওকে শিক্ষা দেওয়া যায় এবং মূল অভিযুক্ত কল্পনা শিটকে জেলে পাঠানো যায়, তার ব্যবস্থা ভারতীয় জনতা পার্টি করবে ।"
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সাধের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়েও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা । তিনি বলেন, "নামে সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল ৷ আক্রান্তদের একটা বালিশ পর্যন্ত দেয়নি ।" আক্রান্ত বিজেপি নেত্রীকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন শুভেন্দু ৷
এদিন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, গত 23 তারিখ তিনি সমস্ত নথি দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, দেব কার কাছ থেকে ঘড়ি নিয়েছেন, কার কাছ থেকে আসবাসপত্র এবং মোবাইল নিয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় কেশিয়াড়ির পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে এক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন কেশিয়াড়ির বিডিও ৷ এটি অর্থ তহবিলের বৈঠক ছিল । আর এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ সদস্য-সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কেশিয়াড়ি বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভানেত্রী মৌমিতা সিংহ । তাঁর অভিযোগ, তিনি সেই বৈঠকে উপস্থিত হতেই তাঁর উপর চড়াও হন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষরা এবং জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা শীট । তাঁকে মারধর করা হয় এবং তাঁর কাপড় টেনে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ করেন বিজেপির সভানেত্রী ।
দফায় দফায় দু'বার তাঁর উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, বিডিও অফিস চত্বর তাঁকে দৌড় করিয়ে মারধর করা হয়েছে ৷ এই ঘটনা ঘটার দু ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা না করে তাঁকে বিডিও বসিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ করেন মৌমিতা ৷ পুলিশে খবর দেওয়া হলে তাঁকে প্রথমে কেশিয়াড়িতে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।