মালদা, 20 এপ্রিল: “আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন বোমা পড়বে যে তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে । কোনও কূলকিনারা পাবে না । সেই ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে ।” মালদায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী । তবে কি তৃণমূলের আরও কোনও নেতা ইডি-সিবিআইয়ের ব়়্যাডারে রয়েছেন ? সেই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে ।
শনিবার দুপুরে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর সমর্থনে রতুয়ায় জনসভা করতে আসেন বিধানসভার বিরোধী নেতা । জনসভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল দেশের 102টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে । তার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির 400টি লোকসভা আসন জয়ের লক্ষ্যে বিজয় রথের চাকা গড়াতে শুরু করেছে । তৃণমূল জানে এই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে । তাই দু’কান কাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি গতকাল ভোটের পর আই-প্যাকের বুদ্ধিতে বিজয় মিছিল করেছে । আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার তিনটি আসনে গতবারের থেকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতে গিয়েছে । উত্তর মালদা আসনে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের লড়াই হচ্ছে । এখানে বিজেপি 1 লক্ষের বেশি ভোটে জিতবে ।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা বিশ্বস্ত সঙ্গীর এদিন আক্রমণ করেন পুলিশ-প্রশাসনকেও ৷ তাঁর বলেন, ‘‘প্রাক্তন আইপিএস, পরিযায়ী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর ঠিকা নিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব । প্রসূনবাবু যখন দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন তখন এমন কোনও কাণ্ড নেই উনি করেননি । সিভিক ভাইদের দু’টো প্যানেল এর আমলেই করা । ইনি এত গুণের অধিকারী যে শাহজাহানকেও হার মানাবেন । তাই সকলে এর থেকে দূরে থাকবেন । উত্তর মালদা লোকসভা আসনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসনের জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের লড়াই চলছে ।”
শুভেন্দুর কথায়, এই নির্বাচন দেশের নির্বাচন। শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশ রাখতে হবে । মোজিদি দেশের মানুষের জন্য 175টি জনকল্যাণ প্রকল্প এনেছেন । গোটা দেশে 45 আসনে লড়াই করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মোদিজি জলপাইগুড়িতে সভায় বলেছিলেন, তৃণমূলের অর্ধেক চোরেদের জেলে ঢোকানো হয়েছে । তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর বাকি চোরেদের জেলে পুড়বেন ।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি ও তাঁর ছেলে টাকা নিতে কোনও জায়গা বাকি রাখেননি । এই রহিম বক্সি আমার হাত ধরে আরএসপি থেকে তোলামূলে এসেছিল । কিছুদিন আগে উনি বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে দেব না । লম্বা বক্সি কোথায় আছেন আমাকে ডাকুন, দেখা হোক । কেস্ট মণ্ডল জেলে আছে । শেখ শাহজাহানের অবস্থাও দেখেছেন । আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন বোমা পড়বে তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে । সেই ব্যবস্থা হচ্ছে অপেক্ষা করতে থাকুন । বিজেপি কোনও সম্প্রদায়ের বিরোধী নয় ।”
আরও পড়ুন: