নয়াদিল্লি, 19 জুলাই: ভারতের সংবিধানের 361 ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি প্রক্রিয়া করা যায় না ৷ এই ধারায় আওতায় তাঁকে সম্পূর্ণ রক্ষাকবচ দেওয়া রয়েছে ৷ সংবিধানের এই ধারাটি পরীক্ষা করে দেখতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী তথা নির্যাতিতা সংবিধানের এই ধারাটির আইনি পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ এই মামলাতে রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
গত 2 মে কলকাতা রাজভবনে এক অস্থায়ী কর্মীকে যৌন হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ৷ সেই মামলায় এফআইআর দায়ের হলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৷
রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী তথা নির্যাতিতা এবার 361 ধারায় 'রক্ষাকবচ'টি আইনি পরীক্ষা করে দেখার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ সেই মামলায় শুক্রবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ ধারাটি খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়েছে ৷
এদিন এই মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ অভিযোগকারীকে জানায়, এই মামলাটিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্টি করতে হবে ৷ পাশাপাশি অভিযোগকারীর মামলায় রাজ্য সরকারকেও নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
সংবিধানের 361 ধারায় রাজ্যপালকে দেওয়া 'রক্ষাকবচ'-এর আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শীর্ষ আদালত অ্যাটর্ন জেনারেল আর ভেঙ্কটরামনির সহযোগিতা চেয়েছে ৷ সংবিধানের 14 নম্বর ধারায় 'রাইট টু ইকুয়ালিটি' অর্থাৎ সমানাধিকারের কথা বলা আছে ৷ এদিকে ধারা 361 তার ব্যতিক্রম ৷ এই ধারা অনুযায়ী, দেশের রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁদের কাজের জন্য দেশের কোনও আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় ৷ এদিকে মামলাকারী রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী এই ধারার অধীনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কীভাবে ফৌজদারি প্রক্রিয়া করা যায়, তা জানতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন ৷