কলকাতা, 29 অগস্ট: মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর। এবার থেকে গ্রিন লাইন-2-এ মানে হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত রবিবারও চলবে মেট্রো। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে। মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী 1 সেপ্টেম্বর থেকে রবিবারও মিলবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড পথে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা ৷ দুপুর 2টো 15 মিনিট থেকে রাত 9টা 45 মিনিট পর্যন্ত চালু থাকবে পরিষেবা ৷ আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট 62টি ট্রেন চলবে 15 মিনিট অন্তর, এমনটাই জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ৷
অন্যদিকে, কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইনের লাইন 1-এর পরে গ্রিন লাইনের লাইন 2-তেও চালু হয়ে গিয়েছে ইউপিআই টিকিট পরিষেবা। কলকাতা মেট্রো নেটওয়ার্কের গ্রিন লাইন 2-তে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত এই চারটি স্টেশনে টিকিট কাটার সময় এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার সময় সঙ্গে খুচরা পয়সা না থাকলে আর কোনও চিন্তা নেই, কারণ লাইন ওয়ানের মতো এই চারটি স্টেশনে এদিন থেকেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে টিকিট কাটা এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার পরিষেবা চালু হয়ে গেল। এমনকী স্মার্ট অটোমেটিক স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিনেও এই ইউপিআই-এর মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করা যাবে।
গ্রিন লাইন-1-এর শিয়ালদা স্টেশনে এই ব্যবস্থা সর্বপ্রথম চালু হয় গত 7 মে। মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস (ক্রিস)-এর সহযোগিতায় এই ইউপিআই ভিত্তিক টিকিট ব্যবস্থা চালু করেছে। যাত্রীদের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে প্রথমে তাঁদের গন্তব্য স্টেশনের নাম বলতে হবে। এরপর কাউন্টারের ডুয়াল ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে ওঠা কিউ আর কোডটি স্ক্যান করে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে। এই লেনদেন সম্পূর্ণ হলেই কিউআর কোড ভিত্তিক কাগজের টিকিটটি সেই যাত্রী হাতে পাবেন ৷
হুগলি নদীর তলা দিয়ে মেট্রো যাচ্ছে। মাথার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল আর সুড়ঙ্গ চিরে দৌড়চ্ছে মেট্রোরেল। এই অনুভূতিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে সুড়ঙ্গের ভেতরেই জলের আবহ তৈরি করতে চলেছে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ । দুই পড়শি শহর কলকাতা ও হাওড়াকে যুক্ত করছে এই সুড়ঙ্গ । ইতিমধ্যেই মেট্রোসফরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সুড়ঙ্গের ভিতরে কৃত্রিম আলো এবং বিভিন্ন ধরনের জলের আওয়াজ অর্থাৎ সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । যাঁরা দুবাই অ্যাকোয়ারিয়াম এবং আন্ডারওয়াটার জু দেখেছেন তাঁরা এই অনুভূতি সম্পর্কে নিশ্চই জানেন ।
তবে সুড়ঙ্গের দুই পাশে জলের মধ্যে আবহ সৃষ্টি করে তার ভেতর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে ট্রেন, এমন অনুভব এবার পেতে চলেছে শহরবাসীও । সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য 520 মিটার । আর এই পুরো সুড়ঙ্গপথকেই একটা আন্ডার ওয়াটার ট্রাভেলের অনুভূতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই এই অংশের পরিষেবা চালু হয়ে গেল 45 সেকেন্ডের সুড়ঙ্গ পথের এই যাত্রা বিস্মিত করবে আট থেকে আশি সকলকেই ।