হাওড়া, 12 জানুয়ারি: মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন-কাণ্ডে এবার স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর মন্তব্য, তৃণমূলের আমলে 'ফেলো কড়ি মাখো তেল' নীতিতে চলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ৷ এ প্রসঙ্গে আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি ৷
হাওড়া শহরে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথা বলেন সুকান্ত ৷ উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উলুবেড়িয়া হাসপাতালে শনিবার বেলা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে নির্দেশিকা জারি করতেই সেই সব স্যালাইন স্টোর থেকে সরানো হয় ৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "আরজি করের ঘটনা যখন ঘটে তার দু’টি দিক ছিল ৷ একটা ছিল ধর্ষণ ও খুন ৷ আরেকটা ছিল দুর্নীতি ৷ তারপর তো আর লুকানোর কিছু নেই ৷ প্রমাণিত হয়ে গেছে পুরো স্বাস্থ্য দফতরটাই যার মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে আছেন ৷ সেটা চোরের একটা আস্তানা হয়ে গিয়েছে ৷"
মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সবক’টি হাসপাতালে আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাবেন, কমা মানের ওষুধ পাবেন ৷ শুধু তাই নয়, ডাক্তারবাবুরা একত্রিত হয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরে ৷ সেখানে তাঁরা বলেছিলেন, প্রসূতিদের সন্তান প্রসবের সময় অক্সিটোসিন নামে একটি হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেই ইনজেকশনটা দেওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের মৃত্যু হচ্ছে ৷ তদন্ত চেয়েছে তাঁরা, আমরা নই বা কোনও রাজনৈতিক দল চায়নি ৷ ডাক্তারবাবু যাঁরা স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, তাঁরা দিয়েছিলেন ৷ কিচ্ছু হয়নি ৷"
এ প্রসঙ্গে শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে সুকান্ত বলেন, "পয়সা দাও ৷ ফেলো কড়ি মাখো তেল! তৃণমূল আমলে আপনি পয়সা দেবেন সব হয়ে যাবে ৷" উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধেয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার হয় ৷ তার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার পরেই মৃত্যু হয় মহিলার ৷ এই ঘটনায় প্রসূতিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷