শিলিগুড়ি, 25 সেপ্টেম্বর: জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গতকাল বোলপুরে গেলেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ভবিষ্য়দ্বাণী অনুব্রত মণ্ডলকে আবার জেলে যেতে হবে ৷ তাই 'কেষ্ট'র সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো দেখা করেননি ৷
মঙ্গলবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রত মণ্ডলকে কাছে রাখতে চাইছেন না, দূরে রাখতে চাইছেন তা তিনিই বলতে পারবেন ৷ ভাড়া করা লোক যতই হাততালি দিক, হাজার হোক জেলখাটা আসামী তো ! কিন্তু মানুষ বলছে যে জেল খেটে চেহারাটা ভালো হয়ে গিয়েছে ৷ সিবিআই আর ইডি মিলে চেহারা ঠিক করে দিয়েছে ৷ আগামীতে আবার জেলে যেতে হবে ৷ আর মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যতটা জানেন, সেজন্যই তিনি দেখা করছেন না ৷"
উত্তরবঙ্গ লবির প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার বক্তব্য, "শুধুমাত্র অপূর্ব বিশ্বাস নয়, অভীক থেকে বিরুপাক্ষ সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ৷ আমরা তো আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি যে সুশান্ত রায় কীভাবে বেঁচে আছেন ৷ এতদিনে তো তাঁর ডাক পাওয়া উচিত ছিল ৷" মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "75 শতাংশ কালীঘাটে পাঠানোর কথা ছিল ৷ সেটা পাঠায়নি দেখেই পদ থেকে সরে যেতে হল ৷ টাকা দিলে আর সরতে হত না ৷"
উত্তরবঙ্গে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন, উত্তরবঙ্গ লবির মাথা চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের গ্রেফতারি এবং আরজি করের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শিলিগুড়িতে মহামিছিল করল বিজেপি ৷ সেখানে পা মেলালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু, জেলা সভাপতি অরুণ ঘোষ-সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ৷
মিছিলটি এদিন শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে শুরু করে মহাত্মা গান্ধি চক পর্যন্ত যায় ৷ আর মিছিলের শেষে রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনে উৎখাত করার ডাক দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব ৷