কৃষ্ণগঞ্জ, 19 ফেব্রুয়ারি: নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট চিঠি এসেছে বাড়ি বাড়ি। এর জেরে বিভ্রান্ত বহু মানুষ। মূলত নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বাবলাবন-সহ নিধিপতা, গোবিন্দপুর, টুঙ্গি, কাদিপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা বিপদে পড়েছেন ৷ ওই এলাকার মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পোস্ট অফিস মারফত এসে হাজির হয়েছে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটের চিঠি। তাতেই এই সকল মানুষজন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছে না। রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাঁরা বলছেন, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ৷ 14-15 বছর আগে বাংলাদেশ থেকে তাঁরা ভারতে এসেছেন। সরকার আধার কার্ড দিলই বা কেন, আর ডিঅ্যাক্টিভেটই বা কেন করল। এখনও পর্যন্ত বিকল্প পথ খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। এবিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অসিত মণ্ডল বলেন, "আমরা প্রচণ্ড চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ওপার বাংলা থেকে অমানবিক অত্যাচারের কারণে আমরা ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছি। এখানে এসে আধার কার্ড, রেশন কার্ড আমাদের সবকিছু হয়েছে। তাহলে হঠাৎ কেন আবার বাতিল করা হল। কেনই বা পরিচয় পত্র আমাদের দেওয়া হয়েছিল।"
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ব্যাংকের পাশবই বাতিল হওয়া শুরু হয়েছে। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে যাঁরা যাঁরা ভোটাধিকার আমাদের দেশে প্রয়োগ করেছেন তাঁরা সকলেই আমাদের দেশের নাগরিক। অর্থাৎ কারও চিন্তা করার কিছু নেই ৷ মমতা ও অভিষেক যা কথা দেন তা তাঁরা রাখেন। বিজেপি এই চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরেই করছে।" অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুপ্রভাত দাস বলেন, "মূলত নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় বহু মানুষের কাছে এই চিঠি এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতবর্ষে এসেছে। ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিচয় পত্র রয়েছে এদের কাছে। হঠাৎ করে এই ধরনের চিঠি আতঙ্কে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে।"
যদিও এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি নেতা নির্মল বিশ্বাস। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ থেকে এসে বিভিন্ন দালাল মারফত বেআইনি উপায় অবলম্বন করে বিভিন্ন পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন। আমরা আশা রাখছি লোকসভা ভোটের আগেই তাদের কাছে বৈধ কাগজ পৌঁছে যাবে।"
আরও পড়ুন: