কলকাতা, 5 অগস্ট: সিপিআইএমের ভোট বাক্সে মানুষের সমর্থন কেন নেই ? আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কার্যালয় থেকে এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা ৷ ইমেলে মানুষের মতামত ও পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা ৷ তবে, এসইউসিআই-এর সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের মতে, এতকিছুর প্রয়োজন নেই ৷ তাঁর মতে, সিপিআইএম নেতারা 34 বছরের শাসনে বামপন্থাকে কলঙ্কিত করেছেন ৷ তার বিশ্লেষণ করলে, সিপিআইএম ভোট না-পাওয়ার কারণ বুঝে যাবে বলে মন্তব্য করলেন ৷
রানি রাসমণি রোডে এসইউসিআই-এর সমাবেশে বাম তথা সিপিআইএম-কে নিশানা করলেন প্রভাস ঘোষ ৷ তাঁর অভিযোগ, সিপিআইএম নেতাদের দোষেই আজ মানুষ তাদের থেকে বিমুখ ৷ তিনি বলেন, "বামপন্থাকে কলঙ্কিত করে 34 বছর ধরে কী অপশাসন চালিয়েছেন সিপিআইএম নেতারা, তারা কি জানেন না ? আজকে ভোট পাচ্ছে না বলে, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত চাইতে হচ্ছে তাদের !"
তাঁর কথায়, "বঙ্গে বামপন্থা ঐতিহ্যশালী ছিল ৷ অনুশীলন সমিতি থেকে শুরু করে নেতাজির অভ্যুত্থান ঘটেছিল এখানে ৷ সেই বামপন্থাকে প্রথম ধাপে সিপিআই এবং দ্বিতীয় ধাপে সিপিআইএম কলঙ্কিত করেছে ৷ সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে একাধিক ঘটনায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে ৷ কোন পাড়ায় কে কোন বাড়ি কিনবে, জমি কিনবে, এমনকি কে কাকে বিয়ে করবে ? সেটাও সিপিআইএম নেতারা ঠিক করে দিত ৷"
প্রভাস ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, মানুষের কাছে মতামত না চেয়ে, নিজেদের ভুলগুলির আত্মবিশ্লেষণ করুক সিপিআইএম নেতৃত্ব ৷ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুল সংশোধন ও মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি ৷ প্রভাস ঘোষের অভিযোগ, "নিজেদের ভুলের বিশ্লেষণ না করে, মানুষের কাছে জবাবদিহি চাইছে সিপিআইএম ৷ "
এই ইস্যুতে রাজ্যে পালাবদল ও তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গও টেনে আনেন এসইউসিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ৷ তিনি বলেন, "বামেদের এই অপশাসনের অবসান চেয়ে মানুষ রাজ্যে পালাবদল ঘটিয়েছিল ৷ যাকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল, তাঁকে একসময় 'অগ্নিকন্যা' বলে উল্লেখ করেছিল সংবাদমাধ্যম ৷ আজ তারাই ঘুরে গিয়েছে ৷ সেই তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যে কী ঘটছে, তা মানুষ জানে ৷"