ETV Bharat / state

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হল কিডনি প্রতিস্থাপন, দক্ষিণবঙ্গে প্রথম !

ছেলেকে কিডনি দিয়েছেন বাবা ৷ রোগী ও কিডনি দাতা দু'জনেই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ৷ দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালের এই সাফল্যে খুশি জেলাবাসী ৷

Kidney Transplant
কিডনির প্রতীকী ছবি (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

দুর্গাপুর, 23 অক্টোবর: দক্ষিণবঙ্গে প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হল কিডনি প্রতিস্থাপন । নজির গড়ল দুর্গাপুরের বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ।

আসানসোলের ডিসেরগড়ের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন । দুর্গাপুরের বিধান নগরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন তিনি ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন । তারপরেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য । সেখানেও চিকিৎসকেরা একই কথা বলেন পার্থকে । পুনরায় তিনি ফিরে আসেন দুর্গাপুরের বিধান নগরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে । বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পার্থকে একটি কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন ।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে সফল কিডনি প্রতিস্থাপন (ইটিভি ভারত)

সেই অনুযায়ী, গত 15 সেপ্টেম্বর বাবার কিডনি ছেলের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করে ওই বেসরকারি হাসপাতাল । ওই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ এতদিন কিডনির অনেক জটিল রোগ ও সমস্যার সফল চিকিৎসা করেছে ৷ তবে এতদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের যেতে হত কলকাতা বা অন্য রাজ্যে । এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । শেষ পর্যন্ত গত মাসে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের মুকুটে যোগ হল আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক ।

ওই বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সত্যজিৎ বসু বলেন, "এই সাফল্যের পিছনে নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দীপক কুমার ও ডা. রবিরঞ্জন সৌ মণ্ডল-সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে । সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ছেলে এবং বাবা । এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হয় সাত থেকে নয় লক্ষ টাকা ।"

Kidney Transplant
চিকিৎসকের সঙ্গে রোগী (নিজস্ব ছবি)

ছেলেকে কিডনি দান করার পর বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি । ছেলেও আমার সঙ্গে একই কাজ করতো । হঠাৎ করে ছেলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয় । ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া করাতেই পারতাম না । এর জন্য চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।"

দুর্গাপুর, 23 অক্টোবর: দক্ষিণবঙ্গে প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হল কিডনি প্রতিস্থাপন । নজির গড়ল দুর্গাপুরের বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ।

আসানসোলের ডিসেরগড়ের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন । দুর্গাপুরের বিধান নগরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন তিনি ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন । তারপরেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য । সেখানেও চিকিৎসকেরা একই কথা বলেন পার্থকে । পুনরায় তিনি ফিরে আসেন দুর্গাপুরের বিধান নগরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে । বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পার্থকে একটি কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন ।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে সফল কিডনি প্রতিস্থাপন (ইটিভি ভারত)

সেই অনুযায়ী, গত 15 সেপ্টেম্বর বাবার কিডনি ছেলের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করে ওই বেসরকারি হাসপাতাল । ওই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ এতদিন কিডনির অনেক জটিল রোগ ও সমস্যার সফল চিকিৎসা করেছে ৷ তবে এতদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের যেতে হত কলকাতা বা অন্য রাজ্যে । এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । শেষ পর্যন্ত গত মাসে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের মুকুটে যোগ হল আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক ।

ওই বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সত্যজিৎ বসু বলেন, "এই সাফল্যের পিছনে নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দীপক কুমার ও ডা. রবিরঞ্জন সৌ মণ্ডল-সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে । সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ছেলে এবং বাবা । এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হয় সাত থেকে নয় লক্ষ টাকা ।"

Kidney Transplant
চিকিৎসকের সঙ্গে রোগী (নিজস্ব ছবি)

ছেলেকে কিডনি দান করার পর বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি । ছেলেও আমার সঙ্গে একই কাজ করতো । হঠাৎ করে ছেলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয় । ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া করাতেই পারতাম না । এর জন্য চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.