ETV Bharat / state

প্রতিনিয়ত বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ! আত্মহত্যা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর - Student Dies by Suicide - STUDENT DIES BY SUICIDE

Student Suicide: বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়শই বচসা-বিবাদ লেগে থাকত ৷ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর অত্যাচারের শিকার হতেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে ৷ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী ৷

Cause of Student Suicides
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 14, 2024, 8:03 PM IST

Updated : Jun 14, 2024, 8:32 PM IST

আরামবাগ, 14 জুন: গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ৷ বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পড়ুয়া এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ পৌরসভার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ পল্লিতে ৷ মৃত ছাত্রীর বয়স 18 বছর ৷ একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা ৷

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "শ্বশুরবাড়িতে আমার ও মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার করত স্বামী ৷ অতিষ্ঠ হয়ে আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করি ৷ এরপর ফোন করে হুমকি দিত স্বামী ৷ আমাকে, মেয়েকে অপমান করত ৷ বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷" যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্বামী ৷

তিনি দাবি করেছেন, মেয়ের পড়াশোনার উন্নতির জন্য আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ৷ তারপর থেকেই মা-মেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করত। মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ টাকা, সোনার গয়না, যা ছিল স্ত্রী নিয়ে নিয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি ৷ মেয়েকে নাকি অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি ৷ মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী-র করা অভিযোগ অস্বীকার করেন মৃতের বাবা ৷ পালটা জানান, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন ৷ এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা জানান, মেয়েকে পড়ানোর জন্য আরামবাগে নিয়ে এসেছিলেন বাবা ও মা। তারপরে যে কী হল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আরামবাগে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মা ও মেয়ে। শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণেই তাঁরা নাকি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মৃত মেয়ের বাবা গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে মাকে পরে খাচ্ছি বলে নিজের ঘরে চলে যান সে। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন মা ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়

(যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত। আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর। সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন। এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে।)

আরামবাগ, 14 জুন: গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ৷ বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পড়ুয়া এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ পৌরসভার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ পল্লিতে ৷ মৃত ছাত্রীর বয়স 18 বছর ৷ একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা ৷

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "শ্বশুরবাড়িতে আমার ও মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার করত স্বামী ৷ অতিষ্ঠ হয়ে আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করি ৷ এরপর ফোন করে হুমকি দিত স্বামী ৷ আমাকে, মেয়েকে অপমান করত ৷ বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷" যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্বামী ৷

তিনি দাবি করেছেন, মেয়ের পড়াশোনার উন্নতির জন্য আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ৷ তারপর থেকেই মা-মেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করত। মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ টাকা, সোনার গয়না, যা ছিল স্ত্রী নিয়ে নিয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি ৷ মেয়েকে নাকি অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি ৷ মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী-র করা অভিযোগ অস্বীকার করেন মৃতের বাবা ৷ পালটা জানান, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন ৷ এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা জানান, মেয়েকে পড়ানোর জন্য আরামবাগে নিয়ে এসেছিলেন বাবা ও মা। তারপরে যে কী হল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আরামবাগে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মা ও মেয়ে। শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণেই তাঁরা নাকি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মৃত মেয়ের বাবা গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে মাকে পরে খাচ্ছি বলে নিজের ঘরে চলে যান সে। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন মা ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়

(যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত। আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর। সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন। এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে।)

Last Updated : Jun 14, 2024, 8:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.