কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: অশ্লীল মেসেজ করার খবর আগে থেকে জানা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ, উত্তর চেয়ে সরব স্কটিশ চার্চ কলেজের পড়ুয়ারা । শুক্রবার সকাল থেকে প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ বসেন তাঁরা । আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের কাছ থেকে পুরো ঘটনার লিখিত বিবৃতি চান ।
শুক্রবার নিজেদের দাবিগুলি চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা । সেখানে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, সমস্ত বিষয়টি জানার পরে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ কেন পুরো বিষয়টি ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য অধ্যাপকদের কাছ থেকে লুকিয়ে গিয়েছিলেন ? এ নিয়ে আজও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ ৷
এক ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে স্কটিশ চার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পিতবার ফিজিক্যাল এডুকেশনের অধ্যাপক সমীর রায়কে সাসপেন্ড করেছে ৷ অভিযোগ, গত জুলাই মাস থেকে এক ছাত্রীকে রাতের বেলায় অশ্লীল মেসেজ করে বিরক্ত করতেন । সেই সময় অভিযোগকারিণী তাঁর পূর্ব-পরিচিত মানিকতলা থানার ওসিকে বিষয়টি জানান ৷ তখন কলেজের এক আধিকারিককে বিষয়টি জানান ওসি ৷ তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেসেজ পাঠানো । তবে নভেম্বর মাস থেকে আবার ওই তরুণীকে বিভিন্ন অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগ ওঠে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে । পড়ুয়াদের দাবি, অশ্লীল মেসেজ করার শুরু থেকেই যখন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতেন, তাহলে তখন কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ?
স্কটিশ চার্চ কলেজের এক ছাত্র দিগন্ত চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্ত সমীর রায়কে শুধুমাত্র সাসপেন্ড করলে হবে না ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে । এই ধরনের ঘটনা কলেজে এতদিন ধরে কেন ঘটছে ? কর্তৃপক্ষকে এর জবাব দিতে হবে । আরও যেসব অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে । পাশাপশি তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারিণীকে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা ।