ETV Bharat / state

বেধড়ক 'মার' শিক্ষকের,  স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে পড়ুয়া - Teacher Alleged Torture

Teacher Allegedly Torture Student in Burdwan: পড়ুয়াকে অমানবিকভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ ওই ছাত্রের গায়ে কালসিটে দাগও পড়ে গিয়েছে ৷ এরপর ওই ছাত্র স্কুলে যেতেই ভয় পাচ্ছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 26, 2024, 3:55 PM IST

Updated : Jul 26, 2024, 10:26 PM IST

Teacher allegedly torture student in Burdwan
বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলে ছাত্রকে বেধড়ক মার শিক্ষকের (নিজস্ব ছবি)

বর্ধমান, 26 জুলাই: ভয়ে স্কুলমুখো হতে ভয় পাচ্ছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি ৷ আতঙ্কে তার রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ৷ অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকের মারে তার সারা গায়ে কালসিটে দাগ পড়ে গিয়েছে ৷ ছাত্রটি এখন চিকিৎসাধীন ৷ এই অবস্থায় সে কীভাবে স্কুলে যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছাত্রটির পরিবার ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ছাত্রের পরিবার বর্ধমান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে ৷

ঘটনাটি বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের ৷ জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, "ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা কথা বলা হবে ৷ তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখা হবে ৷ আলোচনা হওয়ার পরে সিদ্ধান্তে আসা যাবে ৷"

ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ, গতকাল, বৃহস্পতিবার স্কুলের টিফিনের সময় বোতলের খাবার জল শেষ হয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটির ৷ সে জল আনতে যাবে এমন সময় অন্য এক ছাত্র চিৎকার করে ওঠে ৷ সে সময় ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটিকে স্টিলের স্কেল দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন ৷ তাকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার গোটা শরীরে কালসিটে পড়ে যায় ৷ শিক্ষকের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে না পেরে অবশেষে ছাত্রটি দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ তবে ছাত্রের দাবি, সে কোনও অপরাধই করেনি ৷ এরপর তাকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয় ৷ এরপর সে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷

এদিকে ছাত্রটির এই অবস্থা দেখে তার মা পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুলে যায় ৷ অভিযোগ, তার মায়ের সঙ্গে ওই ইংরেজি শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু দুর্ব্যবহার করেন ৷ পরে তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটির কথা জানান ৷ ছাত্রের পরিবারের দাবি, ছেলে দোষ করলে শিক্ষক তো অবশ্যই শাস্তি দেবেন ৷ কিন্তু পড়ুয়ার কথাও তো শোনা উচিত ৷ আর তাকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে, সে আতঙ্কে স্কুল যেতে চাইছে না ৷

এদিন ছাত্রটির এক আত্মীয় দাদা ইটিভি ভারতকে বলেন, "ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছি ৷ তার চিকিৎসা চলছে ৷ সে স্কুলে যেতে খুব ভয় পাচ্ছে ৷ তার কাছ থেকে জানতে পারি, গতকাল টিফিনের সময় তার বোতলের জল শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ সে জল ভরতে যাবে, এমন সময় অন্য একটা ছাত্র ভিড়ের মধ্যে খুব জোরে চিৎকার করে ওঠে ৷ সেই সময় সেখানে ছিলেন স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু ৷ তিনি ছাত্রটিকে চিৎকার করার কারণ জিজ্ঞাসা সে বলে সে চিৎকার করেনি ৷ তখন শিক্ষক ভাইকেই দোষারোপ করে স্টিলের স্কেল দিয়ে পেটাতে শুরু করে ৷ তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয়৷ ৷ ভয়ে, আতঙ্কে সে দোষ না করেও নিজেকে বাঁচাতে দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ তার গোটা শরীরে কালসিটের দাগ । এরপর তাকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় ৷"

বর্ধমান, 26 জুলাই: ভয়ে স্কুলমুখো হতে ভয় পাচ্ছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি ৷ আতঙ্কে তার রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ৷ অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকের মারে তার সারা গায়ে কালসিটে দাগ পড়ে গিয়েছে ৷ ছাত্রটি এখন চিকিৎসাধীন ৷ এই অবস্থায় সে কীভাবে স্কুলে যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছাত্রটির পরিবার ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ছাত্রের পরিবার বর্ধমান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে ৷

ঘটনাটি বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের ৷ জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, "ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা কথা বলা হবে ৷ তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখা হবে ৷ আলোচনা হওয়ার পরে সিদ্ধান্তে আসা যাবে ৷"

ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ, গতকাল, বৃহস্পতিবার স্কুলের টিফিনের সময় বোতলের খাবার জল শেষ হয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটির ৷ সে জল আনতে যাবে এমন সময় অন্য এক ছাত্র চিৎকার করে ওঠে ৷ সে সময় ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটিকে স্টিলের স্কেল দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন ৷ তাকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার গোটা শরীরে কালসিটে পড়ে যায় ৷ শিক্ষকের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে না পেরে অবশেষে ছাত্রটি দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ তবে ছাত্রের দাবি, সে কোনও অপরাধই করেনি ৷ এরপর তাকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয় ৷ এরপর সে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷

এদিকে ছাত্রটির এই অবস্থা দেখে তার মা পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুলে যায় ৷ অভিযোগ, তার মায়ের সঙ্গে ওই ইংরেজি শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু দুর্ব্যবহার করেন ৷ পরে তাঁরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটির কথা জানান ৷ ছাত্রের পরিবারের দাবি, ছেলে দোষ করলে শিক্ষক তো অবশ্যই শাস্তি দেবেন ৷ কিন্তু পড়ুয়ার কথাও তো শোনা উচিত ৷ আর তাকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে, সে আতঙ্কে স্কুল যেতে চাইছে না ৷

এদিন ছাত্রটির এক আত্মীয় দাদা ইটিভি ভারতকে বলেন, "ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছি ৷ তার চিকিৎসা চলছে ৷ সে স্কুলে যেতে খুব ভয় পাচ্ছে ৷ তার কাছ থেকে জানতে পারি, গতকাল টিফিনের সময় তার বোতলের জল শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ সে জল ভরতে যাবে, এমন সময় অন্য একটা ছাত্র ভিড়ের মধ্যে খুব জোরে চিৎকার করে ওঠে ৷ সেই সময় সেখানে ছিলেন স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু ৷ তিনি ছাত্রটিকে চিৎকার করার কারণ জিজ্ঞাসা সে বলে সে চিৎকার করেনি ৷ তখন শিক্ষক ভাইকেই দোষারোপ করে স্টিলের স্কেল দিয়ে পেটাতে শুরু করে ৷ তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয়৷ ৷ ভয়ে, আতঙ্কে সে দোষ না করেও নিজেকে বাঁচাতে দোষ স্বীকার করে নেয় ৷ তার গোটা শরীরে কালসিটের দাগ । এরপর তাকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় ৷"

Last Updated : Jul 26, 2024, 10:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.