কোন্নগর, 12 সেপ্টেম্বর: আরজি করে চিকিৎসার গাফিলতির জন্য যারা মারা গিয়েছে তাদের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ মিছিল করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই চিকিৎসকদেরও তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ ৷
বৃহস্পতিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও কাজে যোগদান করল না। তাদের মানসিকতা খুব পরিষ্কার। তারা তাদের ইগো নিয়ে চলছে। বাংলার মানুষের সেবা করতে আসেনি। এরা ডাক্তার হওয়ার যোগ্য নন ৷ যারা এক মাসের উপর কর্মবিরতি পালন করে চিকিৎসা দেয়নি, তাদের ডাক্তারি করা উচিত নয়। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব এদেরকে ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত নয়। এই স্ট্রাইক অবৈধ।"
এরই সঙ্গে কল্যাণ বলেন, "যদি কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকে তার বিচার হবে কেউ ছাড় পাবে না। তবে ডাক্তাররা যে অমানবিক কাজ করেছে স্ট্রাইক করছে সেটা অসংবিধানিক। ওরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। ভারতের সংবিধানে 21 ধারাকে লঙ্ঘিত করছে ওরা। অতএব এর বিচার চাই।" তৃণমূল সাংসদ এদিন আরজি করে কোন্নগরের বিক্রমের মৃত্যুর বিচার যেমন চেয়েছেন, তেমনি তিলোত্তমারও বিচারের দাবি করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আবেদন সত্বেও কর্মবিরতি জারি রেখেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই সবের মাঝে হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি করে মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় 'জাস্টিস ফর কোন্নগর' রব তুলে মিছিল বের হয়। বঙ্গ জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এই মিছিলের অগ্রভাগেই মশাল হাতে অংশগ্রহণ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করে চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগে কোন্নগরের বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে এই মিছিল কোন্নগর থেকে শুরু হয়ে উত্তরপাড়া পর্যন্ত যায়। মিছিলে হাঁটেন বিক্রমের মা ও পরিবার-সহ বহু মানুষ।
সাংসদ ও আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শুধু বিক্রম নয় 28 থেকে 30 জনের মৃত্যু হয়েছে, কেন এই মৃত্যু হবে ? কেন ডাক্তাররা এত অমানবিক হবেন ?" বিক্রমের মা জানান, চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দিক। পাশাপাশি তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুর বিচারও চেয়েছেন।