ETV Bharat / state

ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ! বিধানসভা এড়িয়ে রাজভবনে বিধায়কদের শপথের চিঠি - State VS CV ANANDA BOSE - STATE VS CV ANANDA BOSE

State-CV ANANDA BOSE Conflict: বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ৷ বিধানসভাতে নয়, রাজভবনে হবে বিধায়কদের শপথের অনুষ্ঠান ৷ চিঠি গেল নবনির্বাচিত বিধায়কদের কাছে ৷ সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

CV ANANDA BOSE
বিধায়কদের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 23, 2024, 12:47 PM IST

কলকাতা, 23 জুন: আবার বিধায়কদের শপথ নিয়ে দোলাচল ! এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বঙ্গে । লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই উপনির্বাচন সংঘটিত হয়েছিল রাজ্যের দুই বিধানসভা আসনে । দুই আসনেই জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । কিন্তু দেখা গেল, এই দুই বিধায়কের শপথে বিধানসভাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে রাজভবন । আর তাতেই নজিরবিহীন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ।

জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ৷ আগামী 26 জুন দুপুর 12টায় রাজভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । এখানেই বরানগরের নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার পড়েছেন অদ্ভুত এক দোলাচলের মধ্যে । কারণ রীতি মেনে বিধানসভায় এই শপথ হলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না । কিন্তু বিধানসভাকে উপেক্ষা করে রাজভবনে শপথ হওয়ার কারণে বাংলার শাসকদল মনে করছে, বিধানসভাকে শুধু উপেক্ষা নয় বরং অপমান করা হচ্ছে । এই অবস্থায় তারা কোন দিকে যাবেন, ঠিক করতে পারছেন না ।

এই চিঠি নিয়ে ইটিভি ভারত কথা বলে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি করা একটা চেনা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । আসলে এসব করে শিরোনামে থাকতে চাইছেন রাজ্যপাল । তিনি মনে করছেন, বিধানসভাকে উপেক্ষা করে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে না । নিজে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়েও রাজ্যপাল অপর সংবিধানিক সংস্থা বিধানসভাকে অসম্মান করতে চাইছেন । আর সেটা তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না । তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত যদি রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় তাহলে উপস্থিত থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক ।

সাধারণত যা রীতি, তাতে মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে । বাকি বিধায়কদের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে শপথের অনুষ্ঠান হয় বিধানসভায় । অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান না । সে ক্ষেত্রে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেন । কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বারংবার দেখা গিয়েছে বিধায়কদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান নিয়ে টানাপোড়েন ।

বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সময় থেকে যার শুরু হয় যা এখনও চলছে । এক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "সাধারণত বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল অধ্যক্ষকেই শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দেন । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে দেখা গিয়েছে নানান জটিলতা ।" তাঁর দাবি, আসলে এই জটিলতা তৈরি করেই দিল্লির নজরে থাকার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল ।

এ দিকে যাদের নিয়ে এই শপথ হবে তাঁরা পড়েছেন বিপাকে । ইতিমধ্যেই সায়ন্তিকার সল্টলেকের বাড়িতে 26 তারিখের শপথের চিঠি পৌঁছেছে । তবে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দল তাঁকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন তাই তিনি পালন করবেন । অন্যদিকে, অপর বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার জানিয়েছেন, তিনি এখনও এ বিষয়ে কিছু জানেন না । এখনও রাজভবনের কোন চিঠি তাঁর হাতে এসে পৌঁছয়নি । তবে চিঠি পেলে দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি বলে জানিয়েছেন ।

কলকাতা, 23 জুন: আবার বিধায়কদের শপথ নিয়ে দোলাচল ! এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বঙ্গে । লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই উপনির্বাচন সংঘটিত হয়েছিল রাজ্যের দুই বিধানসভা আসনে । দুই আসনেই জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । কিন্তু দেখা গেল, এই দুই বিধায়কের শপথে বিধানসভাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে রাজভবন । আর তাতেই নজিরবিহীন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ।

জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ৷ আগামী 26 জুন দুপুর 12টায় রাজভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । এখানেই বরানগরের নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার পড়েছেন অদ্ভুত এক দোলাচলের মধ্যে । কারণ রীতি মেনে বিধানসভায় এই শপথ হলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না । কিন্তু বিধানসভাকে উপেক্ষা করে রাজভবনে শপথ হওয়ার কারণে বাংলার শাসকদল মনে করছে, বিধানসভাকে শুধু উপেক্ষা নয় বরং অপমান করা হচ্ছে । এই অবস্থায় তারা কোন দিকে যাবেন, ঠিক করতে পারছেন না ।

এই চিঠি নিয়ে ইটিভি ভারত কথা বলে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি করা একটা চেনা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । আসলে এসব করে শিরোনামে থাকতে চাইছেন রাজ্যপাল । তিনি মনে করছেন, বিধানসভাকে উপেক্ষা করে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে না । নিজে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়েও রাজ্যপাল অপর সংবিধানিক সংস্থা বিধানসভাকে অসম্মান করতে চাইছেন । আর সেটা তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না । তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত যদি রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় তাহলে উপস্থিত থাকবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক ।

সাধারণত যা রীতি, তাতে মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে । বাকি বিধায়কদের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে শপথের অনুষ্ঠান হয় বিধানসভায় । অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান না । সে ক্ষেত্রে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেন । কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বারংবার দেখা গিয়েছে বিধায়কদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান নিয়ে টানাপোড়েন ।

বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সময় থেকে যার শুরু হয় যা এখনও চলছে । এক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "সাধারণত বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল অধ্যক্ষকেই শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দেন । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে দেখা গিয়েছে নানান জটিলতা ।" তাঁর দাবি, আসলে এই জটিলতা তৈরি করেই দিল্লির নজরে থাকার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল ।

এ দিকে যাদের নিয়ে এই শপথ হবে তাঁরা পড়েছেন বিপাকে । ইতিমধ্যেই সায়ন্তিকার সল্টলেকের বাড়িতে 26 তারিখের শপথের চিঠি পৌঁছেছে । তবে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দল তাঁকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন তাই তিনি পালন করবেন । অন্যদিকে, অপর বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার জানিয়েছেন, তিনি এখনও এ বিষয়ে কিছু জানেন না । এখনও রাজভবনের কোন চিঠি তাঁর হাতে এসে পৌঁছয়নি । তবে চিঠি পেলে দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি বলে জানিয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.