কলকাতা, 7 নভেম্বর: আগামী সপ্তাহে স্টেট ফরেনসিক থেকে আসবে 'রক্তমাখা' গ্লাভসের রিপোর্ট । তারপরেই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে আরজি কর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ৷ সূত্রের তরফে এমনটাই জানতে পেরেছে ইটিভি ভারত ৷
সেই রিপোর্ট দেখে বোঝা যাবে, ওই গ্লাভসে যে লাল রঙের তরল দেখা যাচ্ছে, তা রক্ত নাকি অন্য কিছু । যদিও আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ওই গ্লাভসে থাকা দাগ রক্তের নয় । তবে কী সেটা ? তা জানতেই বেলগাছিয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল সেস্ট ফরেনসিক ল্যাবে গ্লাভস পাঠানো হয়েছে । যা দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে আরজি করের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আমরণ অনশন আন্দোলনের মাঝে আরজি কর হাসপাতালে মিলেছিল 'রক্তমাখা' গ্লাভস । তারপর থেকেই এই নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয় আরজি কর হাসপাতালে । সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই গ্লাভসে রক্ত ছিল না । তারপর দেখা যাচ্ছে, ব্যাচ নম্বরও আলাদা । আরজি কর হাসপাতালে অর্ডার দেওয়া গ্লাভসের ব্যাচ নম্বর 2407007। আর যে গ্লাভস পাওয়া গিয়েছিল তার ব্যাচ নম্বর 2406006। ফলে আরজি কর হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওই গ্লাভস আরজি কর কেনেনি । ফলে সেটা কোথা থেকে এল তার তদন্ত চলছে ।"
অন্যদিকে, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে যাঁর গলা শোনা গিয়েছে, তাঁকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন । তাদের তরফে শ্রীশ চক্রবর্তী বলেন, "যাঁরা এই বিতর্কিত গ্লাভস উদ্ধার করেছেন, তাঁরা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি মিথ্যা কুৎসা এবং অবিশ্বাস তৈরি করে, সরাসরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার মতো অন্তর্ঘাত করার পরিকল্পনা করেছেন কি না, সেই বিষয়টাও সরকার তদন্ত করে দেখুক । এমনকি ওই ভিডিয়োটিতে যে ব্যক্তির কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তাঁকেও তদন্তের আওতায় আনা হোক । কোনও গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না সেটাও সরকার খতিয়ে দেখুক ।"
যদিও এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য অনিকেত মাহাতো বলেন, "আমরা চাই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো হোক । এটা আরজি কর অর্ডার দেয়নি । তবে এই গ্লাভস অন্য কোনও হাসপাতালে হয়তো যেত । ফলে রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে । আমরা তো শুধু আরজি কর হাসপাতালের উন্নতির কথা বলছি না । সার্বিকভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতি হোক । আমরা চাই এটার যথাযথ তদন্ত হোক । কী করে এই গ্লাভস এল, সেই গ্লাভসে কী রয়েছে তা প্রকাশ্যে আসুক ।"