ঘাটাল, 22 সেপ্টেম্বর: ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিদর্শন, আধিকারিকদের নিয়ে নৌকায় চড়ে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন ও মহকুমাশাসক কার্য্যালয়ে বৈঠকও করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে প্রথমে ঘাটালের বিশালাক্ষ্মী মন্দিরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে খোলা মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মুখ্যসচিব ৷ সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শোনেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেখান থেকে ঘাটালের মহকুমা শাসকের দফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
মূলত, ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে সমীক্ষাও করেন মুখ্যসচিব-সহ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে মুখ্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা, ডিভিশনাল কমিশনার আয়েশা রানী, আইজি খড়গপুর রেঞ্জ অনুপ জয়সওয়াল, জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মহকুমা শাসক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে ঘাটালের 2 নম্বর চাতালে নৌকায় চড়ে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ঘাটালের রথীপুরে প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যসচিব ৷ পরে বন্যার্তদের হাতে ত্রাণও তুলে দেন তিনি। তার আগে মহকুমাশাসক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, "জেলা প্রশাসনের তরফে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে আমরা সমীক্ষা করলাম। মোটামুটি 10 লাখের ওপর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃষি, সেচ, স্বাস্থ্য-সহ সব বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে যাতে মানুষের কাছে আমরা সবাই সবরকম পদক্ষেপ নিয়ে পৌঁছে দিতে পারি। অনেক জায়গায় যোগাযোগের সমস্যায় নৌকা নিয়ে যেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে। সবরকম চেষ্টা হচ্ছে যাতে এসময় মানুষের কাছে ওদের পাশে দাঁড়াতে পারি।"
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শেষ প্রান্ত ঘাটাল এখন মাথাব্যথা রাজ্য সরকারের। দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিকের সঙ্গে মুখ্যসচিব, সাংসদ, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার আসছেন খতিয়ে দেখছেন ও ত্রাণ বিলি করছেন। যদিও প্রকৃতির উন্নতির দিকে তাকিয়ে আছে সবাই।