ETV Bharat / state

বীজ বোনা শুরু 2011 সালে, তৃণমূল ‘বটবৃক্ষে’ই বেড়েছে রেশন দুর্নীতি ! - Ration Scam

West Bengal Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডি'র ৷ 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গে রেশন দুর্নীতির গোড়াপত্তন ৷ রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গেই উত্থান একাধিক চরিত্রের ৷ যাদের হাতে ‘যত্নে’ বেড়েছে দুর্নীতির বটবৃক্ষ ৷

West Bengal Ration Scam
তৃণমূল ‘বটবৃক্ষে’ই বেড়েছে রেশন দুর্নীতি ! (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 31, 2024, 10:40 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই: রাজ্যে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । তদন্তকারীদের অনুমান, এই দুর্নীতির গোড়াপত্তনে রয়েছেন উত্তর 24 পরগনা জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ৷ যুক্ত রাজ্যের তাবড় তাবড় ব্যবসায়ীরাও ।

বাকিবুরের উত্থান...

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘটনার সূত্রপাত 2011 সালে । রেশন দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বহু নেতা-প্রভাবশালীরা ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র বাকিবুর রহমান । ফুটপাথের সামান্য বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কয়েক কোটির মালিক, রাজারহাট-নিউটাউনে আলিশান রেস্তোরাঁ ৷

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক দুর্নীতি সামলানো এক ইডি আধিকারিকদের কথায়, "মাত্র পাঁচ বছরে ফুটপাতের একজন সামান্য বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া একপ্রকার অসম্ভব ৷ দুর্নীতি ছাড়া এই তড়িৎবেগে উত্থান সম্ভব নয় ৷ তাঁর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার অঙ্কের পেছনে নিয়মিত শূন্যের বৃদ্ধি তাঁর (দুশ্চ)চরিত্রের পরিধি বাড়িয়েছে ।"

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, 2013 সালে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে আলাপ হয় বাকিবুর রহমানের । তারপর আর ফুটপাথের দিকে তাকাতে হয়নি একদা বিরিয়ানি বিক্রেতাকে ৷ অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বাকিবুরের চালকলে চাল এবং অন্যান্য সামগ্রী অনায়াসে পৌঁছে যেত । ইনকাম ট্যাক্স বাঁচানোর জন্য দুই মামাতো ভাইকেও জড়িয়ে ফেলেন বাকিবুর । ইডি সূত্রে খবর, এই দুই গুণধর আলিফ নুর মুকুল ওরফে বিদেশ এবং আনিসুর রহমান ৷

আত্মীয় ও দুর্নীতি...

আনিসুর রহমান ও আলিফ নুর মুকুলের একাধিক চালকল রয়েছে । এই চালকলগুলি উত্তর 24 পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বসিরহাট এলাকায় । শুধু চালকল নয়, মিল, পেট্রোল পাম্প, রেস্টুরেন্ট, ইটভাটা-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাদের ৷ তদন্তকারীদের দাবি, আনিসুর বা আলিফের শিক্ষাগত যোগ্যতা আহামরি নয় ৷ সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই ব্যবসায় এই উন্নতি আশ্চর্যজনক ৷ গতকাল বাড়ি এবং চালকলে অভিযান চালিয়ে তদন্তকারীরা গ্যারেজে মিৎসুবিশি, পাজেরোর মতো বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পেয়েছে । পাশাপাশি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে একাধিকবার ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশন হয়েছে ।

গতকাল দেগঙ্গায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে খাদ্য দফতরের ফিল করা একাধিক নথিপত্র এবং স্ট্যাম্প পেপার ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর দফতরের তরফ থেকে পত্রগুলি সরাসরি হাত বদল হয়ে পৌঁছে যেত আনিসুর, আলিফের কাছে । তারপর তা সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে হয়ে চলে যেত বাংলাদেশে ৷ রাজ্যের মন্ত্রী কিভাবে এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হলেন এবং কোটি কোটি টাকার ট্রানজাকশন করলেন ? তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী ।

শাহজাহান ও সন্দেশখালি...

টানা জিজ্ঞাসাবাদ এবং জ্যোতিপ্রিয়র অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সামনে আসে আরেকটি নাম । সন্দেশখালিতে বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহান ৷ তার সঙ্গে আসে ভাই আলমগীর ও ডাক্তার সিরাজের নাম ৷ শেখ শাহজাহানের প্রভাব এতটাই ছিল যে 5 জানুয়ারি সাতসকালে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের ৷ এমনকী মার খেতে হয়েছিল সিআরপিএফ জওয়ানদেরও । দীর্ঘ রাজনৈতিক টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান । তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই । কয়েক সপ্তাহ পর তার এক ভাইকেও গ্রেফতার করে সিবিআই ।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে বাকিবুর রহমান, তাঁর দুই ভাই বা বারিক বিশ্বাসের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ।

বারিক বিশ্বাসের বাড়বাড়ন্ত...

ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বারিক বিশ্বাস । তল্লাশি অভিযানের পর তাঁর বাড়ি থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা ৷ জানা গিয়েছে, এককালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাক চালিয়ে নিজের রুটিরুজি জোগাড় করতেন তিনি । কিন্তু 2012 থেকে 2014-এর মধ্যে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে । বর্তমানে তাঁর রাজারহাটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে ৷

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি শুধু দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন ৷ বরং গরুপাচারের সঙ্গেও যুক্ত । তদন্তকারীদের দাবি, 2010 সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক গরু পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ৷ কোন রাস্তা দিয়ে কখন, কোন সময় গরু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসা হয়, সেখানে কোন কোন সরকারি আধিকারিকরা থাকেন সমস্ত খুঁটিনাটি বারিক বিশ্বাসের নখদর্পণে রয়েছে ।

গোয়েন্দাদের অনুমান, মূলত রেশন দুর্নীতি কাণ্ড এবং গরুপাচার কাণ্ড বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠিত হয়েছে ৷ যার মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে সংশোধনাগারে বন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ যাঁকে জড়িয়ে উত্থান বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বাকিবুর রহমান, তাঁর দুই গুণধর ভাই, বারিক বিশ্বাস, শেখ শাহজাহানের ।

কলকাতা, 31 জুলাই: রাজ্যে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । তদন্তকারীদের অনুমান, এই দুর্নীতির গোড়াপত্তনে রয়েছেন উত্তর 24 পরগনা জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ৷ যুক্ত রাজ্যের তাবড় তাবড় ব্যবসায়ীরাও ।

বাকিবুরের উত্থান...

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘটনার সূত্রপাত 2011 সালে । রেশন দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বহু নেতা-প্রভাবশালীরা ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র বাকিবুর রহমান । ফুটপাথের সামান্য বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কয়েক কোটির মালিক, রাজারহাট-নিউটাউনে আলিশান রেস্তোরাঁ ৷

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক দুর্নীতি সামলানো এক ইডি আধিকারিকদের কথায়, "মাত্র পাঁচ বছরে ফুটপাতের একজন সামান্য বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া একপ্রকার অসম্ভব ৷ দুর্নীতি ছাড়া এই তড়িৎবেগে উত্থান সম্ভব নয় ৷ তাঁর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার অঙ্কের পেছনে নিয়মিত শূন্যের বৃদ্ধি তাঁর (দুশ্চ)চরিত্রের পরিধি বাড়িয়েছে ।"

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, 2013 সালে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে আলাপ হয় বাকিবুর রহমানের । তারপর আর ফুটপাথের দিকে তাকাতে হয়নি একদা বিরিয়ানি বিক্রেতাকে ৷ অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বাকিবুরের চালকলে চাল এবং অন্যান্য সামগ্রী অনায়াসে পৌঁছে যেত । ইনকাম ট্যাক্স বাঁচানোর জন্য দুই মামাতো ভাইকেও জড়িয়ে ফেলেন বাকিবুর । ইডি সূত্রে খবর, এই দুই গুণধর আলিফ নুর মুকুল ওরফে বিদেশ এবং আনিসুর রহমান ৷

আত্মীয় ও দুর্নীতি...

আনিসুর রহমান ও আলিফ নুর মুকুলের একাধিক চালকল রয়েছে । এই চালকলগুলি উত্তর 24 পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বসিরহাট এলাকায় । শুধু চালকল নয়, মিল, পেট্রোল পাম্প, রেস্টুরেন্ট, ইটভাটা-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাদের ৷ তদন্তকারীদের দাবি, আনিসুর বা আলিফের শিক্ষাগত যোগ্যতা আহামরি নয় ৷ সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই ব্যবসায় এই উন্নতি আশ্চর্যজনক ৷ গতকাল বাড়ি এবং চালকলে অভিযান চালিয়ে তদন্তকারীরা গ্যারেজে মিৎসুবিশি, পাজেরোর মতো বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পেয়েছে । পাশাপাশি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে একাধিকবার ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশন হয়েছে ।

গতকাল দেগঙ্গায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে খাদ্য দফতরের ফিল করা একাধিক নথিপত্র এবং স্ট্যাম্প পেপার ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর দফতরের তরফ থেকে পত্রগুলি সরাসরি হাত বদল হয়ে পৌঁছে যেত আনিসুর, আলিফের কাছে । তারপর তা সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে হয়ে চলে যেত বাংলাদেশে ৷ রাজ্যের মন্ত্রী কিভাবে এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হলেন এবং কোটি কোটি টাকার ট্রানজাকশন করলেন ? তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী ।

শাহজাহান ও সন্দেশখালি...

টানা জিজ্ঞাসাবাদ এবং জ্যোতিপ্রিয়র অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সামনে আসে আরেকটি নাম । সন্দেশখালিতে বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহান ৷ তার সঙ্গে আসে ভাই আলমগীর ও ডাক্তার সিরাজের নাম ৷ শেখ শাহজাহানের প্রভাব এতটাই ছিল যে 5 জানুয়ারি সাতসকালে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের ৷ এমনকী মার খেতে হয়েছিল সিআরপিএফ জওয়ানদেরও । দীর্ঘ রাজনৈতিক টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান । তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই । কয়েক সপ্তাহ পর তার এক ভাইকেও গ্রেফতার করে সিবিআই ।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে বাকিবুর রহমান, তাঁর দুই ভাই বা বারিক বিশ্বাসের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ।

বারিক বিশ্বাসের বাড়বাড়ন্ত...

ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বারিক বিশ্বাস । তল্লাশি অভিযানের পর তাঁর বাড়ি থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা ৷ জানা গিয়েছে, এককালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রাক চালিয়ে নিজের রুটিরুজি জোগাড় করতেন তিনি । কিন্তু 2012 থেকে 2014-এর মধ্যে তাঁর জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে । বর্তমানে তাঁর রাজারহাটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে ৷

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি শুধু দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন ৷ বরং গরুপাচারের সঙ্গেও যুক্ত । তদন্তকারীদের দাবি, 2010 সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক গরু পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ৷ কোন রাস্তা দিয়ে কখন, কোন সময় গরু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসা হয়, সেখানে কোন কোন সরকারি আধিকারিকরা থাকেন সমস্ত খুঁটিনাটি বারিক বিশ্বাসের নখদর্পণে রয়েছে ।

গোয়েন্দাদের অনুমান, মূলত রেশন দুর্নীতি কাণ্ড এবং গরুপাচার কাণ্ড বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠিত হয়েছে ৷ যার মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে সংশোধনাগারে বন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ যাঁকে জড়িয়ে উত্থান বিরিয়ানি বিক্রেতা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বাকিবুর রহমান, তাঁর দুই গুণধর ভাই, বারিক বিশ্বাস, শেখ শাহজাহানের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.