কলকাতা, 15 মে: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানাররে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইসা'র বেশ কয়েকজন কর্মী। তাদের নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠাবে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, এই সমস্ত কর্মীদের থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। সেই তথ্যের সূত্র ধরে আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
নিজাম প্যালেস সুত্রে জানা গিয়েছে, নাইসা'র বেশ কয়েকজন কর্মচারী নিয়মিত যোগাযোগ রাখত রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন এজেন্ট সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ওই কর্মীদের সঙ্গে। কী ধরনের বিষয়ে নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতো, তা জানার কাজ শুরু করেছে সিবিআই । কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই নাইসা'র ওয়েবসাইট থেকে বেশ কয়েকজন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী পরিচয় পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এসএসসি-র তরফে তিন জনকে ইমেল করা হয়। সিবিআই সূত্রের ইমেল গিয়েছিল নাইসা'র কর্তা নীলাদ্রি দাস ও সংস্থার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশলকে। পরে আরও একটি মেইল করা হয় ওই সংস্থার কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে।
সিবিআই সূত্রের খবর, একাধিক কর্মীদের পাশাপাশি মুজাম্মিল হোসেনের উপরও নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। মূলত সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, নাইসা'র সার্ভারে এখনও প্রচুর তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য থেকে তদন্তকারীদের সাহায্য হতে পারে। ফলে এই সমস্ত কর্মীদের ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পড়তে চাই সিবিআই।
এমনিতেই রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে প্রবল তরজা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার এই দুর্নীতির ঘটনা । রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়র থেকে শুরু করে একাধিক দলীয় বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূলের উপরে যে চাপ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এরই মধ্যে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে থাকা সংস্থার থেকে যদি দুর্নীতি সংক্রান্ত আরও বিস্ফোরক উঠে আসে তাহলে তা যে নতুন করে তরজার সৃষ্টি করবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই!
আরও পড়ুন: