ETV Bharat / state

কমিশন তাঁদের চিহ্নিত না করলে তীব্র আন্দোলন, হুঁশিয়ারি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের - SSC job scam victims

SSC job scam victims: স্কুল সার্ভিস কমিশন যোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত না করলে রাস্তায় নেমে তীব্র আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন সদ্য চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 29, 2024, 7:32 PM IST

Updated : Apr 29, 2024, 8:09 PM IST

আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের

কলকাতা, 29 এপ্রিল: 2 মের মধ্যে এসএসসি চেয়ারম্যানকে 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা জমা দিতে হবে । নয়তো রাস্তায় নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা । সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে উঠবে এসএসসির মামলা । ফলে হাইকোর্টের রায়কে এখনও পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট । তা নিয়ে হতাশা থাকলেও, কিছুটা স্বস্তি দেখা গেল সুপ্রিম কোর্টের কিছু পর্ববেক্ষণে । কিন্তু এই বিষয়ে তাঁরা রাজনীতির স্বীকার বলে মনে করছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ।

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন 2016 সালের যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ । সেখানে তাঁরা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । কেন যোগ্যদের চিনিয়ে দিচ্ছে না কমিশন, সেই প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের রায়ে সদ্য চাকরিহারারা । নবম-দশমে সদ্য চাকরি হারিয়েছেন স্বর্ণালী চক্রবর্তী ।

তিনি বলেন, "2016 সালের গেজেট অনুযায়ী পরীক্ষার এক বছরের মধ্যে ওএমআর নষ্ট করে দেওয়া নিয়মের মধ্যেই আছে । কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে, 2018-13 সালের বহু মানুষ আরটিআই করে চাকরি পেয়েছেন । তার অর্থ, কমিশনের কাছে ওএমআর সিট আছে । আমাদের বক্তব্য, আমরা যে যোগ্য, আমরা যে সঠিক পন্থা অবলম্বন করেই চাকরি পেয়েছি, তার প্রমাণ দিতে এসেছি । দরকার হলে আবার ভেরিফিকেশন করা হোক ।"

অন্যদিকে একাদশ-দ্বাদশের ডালিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বলেন, "যথাযথ প্রমাণ রয়েছে যে, কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য । না হলে কলকাতা হাইকোর্ট কখনওই কিছু সংখ্যক মানুষকে চিহ্নিত করে বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলতেন না । যে ওএমআরের ভিত্তিতে ওঁরা অযোগ্য প্রমাণ হল, সেই ওএমআরের ভিত্তিতেই কী আমরা যোগ্য প্রমাণ হচ্ছি না ?"

অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলাও গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায় । তার প্রেক্ষিতে আরেক সদ্য চাকরিহারা বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, "কারা যোগ্য এবং অযোগ্য সেই তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের । তাঁদের কাছে সব তথ্য আছে । আমরা এখন চাকরিহারা হয়ে রাস্তা এসেছি । সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছি । যদি 2 মের মধ্যে ওই তালিকা কমিশন কোর্টের কাছে জমা না দেয়, তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব ।"

আরও পড়ুন:

  1. যে দল চাকরি বাঁচাবে তার পক্ষে আমরা, বার্তা সদ্য চাকরিহারা প্রতিবাদী শিক্ষকদের
  2. যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যাবে কেন? সুপ্রিম কোর্টে সুবিচার চান কোচবিহারের শিক্ষকরা
  3. যোগ্য হয়েও চাকরিহারা, মন খারাপ প্রিয়াঙ্কার; নিজের চাকরি বাঁচলেও সমব্যাথী সোমা

আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের

কলকাতা, 29 এপ্রিল: 2 মের মধ্যে এসএসসি চেয়ারম্যানকে 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা জমা দিতে হবে । নয়তো রাস্তায় নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা । সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টে উঠবে এসএসসির মামলা । ফলে হাইকোর্টের রায়কে এখনও পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট । তা নিয়ে হতাশা থাকলেও, কিছুটা স্বস্তি দেখা গেল সুপ্রিম কোর্টের কিছু পর্ববেক্ষণে । কিন্তু এই বিষয়ে তাঁরা রাজনীতির স্বীকার বলে মনে করছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা ।

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন 2016 সালের যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ । সেখানে তাঁরা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । কেন যোগ্যদের চিনিয়ে দিচ্ছে না কমিশন, সেই প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের রায়ে সদ্য চাকরিহারারা । নবম-দশমে সদ্য চাকরি হারিয়েছেন স্বর্ণালী চক্রবর্তী ।

তিনি বলেন, "2016 সালের গেজেট অনুযায়ী পরীক্ষার এক বছরের মধ্যে ওএমআর নষ্ট করে দেওয়া নিয়মের মধ্যেই আছে । কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে, 2018-13 সালের বহু মানুষ আরটিআই করে চাকরি পেয়েছেন । তার অর্থ, কমিশনের কাছে ওএমআর সিট আছে । আমাদের বক্তব্য, আমরা যে যোগ্য, আমরা যে সঠিক পন্থা অবলম্বন করেই চাকরি পেয়েছি, তার প্রমাণ দিতে এসেছি । দরকার হলে আবার ভেরিফিকেশন করা হোক ।"

অন্যদিকে একাদশ-দ্বাদশের ডালিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বলেন, "যথাযথ প্রমাণ রয়েছে যে, কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য । না হলে কলকাতা হাইকোর্ট কখনওই কিছু সংখ্যক মানুষকে চিহ্নিত করে বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলতেন না । যে ওএমআরের ভিত্তিতে ওঁরা অযোগ্য প্রমাণ হল, সেই ওএমআরের ভিত্তিতেই কী আমরা যোগ্য প্রমাণ হচ্ছি না ?"

অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলাও গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায় । তার প্রেক্ষিতে আরেক সদ্য চাকরিহারা বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, "কারা যোগ্য এবং অযোগ্য সেই তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের । তাঁদের কাছে সব তথ্য আছে । আমরা এখন চাকরিহারা হয়ে রাস্তা এসেছি । সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছি । যদি 2 মের মধ্যে ওই তালিকা কমিশন কোর্টের কাছে জমা না দেয়, তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব ।"

আরও পড়ুন:

  1. যে দল চাকরি বাঁচাবে তার পক্ষে আমরা, বার্তা সদ্য চাকরিহারা প্রতিবাদী শিক্ষকদের
  2. যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যাবে কেন? সুপ্রিম কোর্টে সুবিচার চান কোচবিহারের শিক্ষকরা
  3. যোগ্য হয়েও চাকরিহারা, মন খারাপ প্রিয়াঙ্কার; নিজের চাকরি বাঁচলেও সমব্যাথী সোমা
Last Updated : Apr 29, 2024, 8:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.