কলকাতা, 26 মার্চ: 'এ শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু ।' গানের লাইনের সঙ্গে অনেকটাই মিল খুঁজে পান সিপিএম প্রার্থী যাদবপুরের ছেলে সৃজন ভট্টাচার্য । স্কুল, কলেজ, রাজনীতি থেকে প্রথম প্রেম, তাঁর সবকিছুর শুরু যাদবপুর থেকে । সেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার সিপিএম প্রার্থী করেছে তাঁকে ৷ যদিও ঘরের ছেলে হলেও সেই বিষয়টাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি । বরং সাধারণ মানুষের রুটি-রুজি-ছাত্রদের সমস্যাকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচার করছেন প্রাক্তন ছাত্র নেতা । অন্যদিকে, সৃজনের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ ৷ তিনি আবার পাড়া বৈঠক, নাচ-গান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার করছেন । বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে ।
9 বছর আগে সমাজমাধ্যমে সায়নী ঘোষের পোস্ট করা একটি ছবি এবং ছবির ক্যাপশন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল । কিন্তু শনিবার শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে সায়নী বলেন, "ঠাকুরের কাছে যাদবপুরের সমস্ত মানুষের মঙ্গল কামনা করলাম ।" সেই বিষয়েই রবিবার সৃজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ তোলেন তিনি ।
সৃজনের কথায়, "ভোটে জিততে গেলে অনেককে অনেক কিছু করতে হয় । মন থেকে না-মানলেও ভোটের স্বার্থে কেউ কেউ পুজো দিয়ে প্রচার করতেই পারেন । আমি ওসবের মধ্যে যেতেই চাই না । পুজো দিয়ে ভোট জিতবে না ৷ রুটি-রুজির সমাধান করতে হয় । রুটি-রুজির কথা বলতে হবে । যাদবপুরের মানুষ জানে গত 15 বছরে এলাকায় কী কাজ হয়েছে কী হয়নি । তৎকালীন সাংসদ সুজন চক্রবর্তীর যাদবপুরে যে উন্নয়নমূলক কাজ অসমাপ্ত ছিল, তার কোনটাই সম্পূর্ণ করেনি তৃণমূল । হাসপাতালের দাবি, রেলের দাবি, একাধিক প্রসাশনিক দাবিও আজও পূরণ হয়নি । যাদবপুরের নাগরিকের কাজ করতে হবে । সেসব না করে পুজো দিয়ে ধৰ্মীয় ভাবাবেগ উস্কে না দেওয়াই ভালো ।"
তৃণমূল ছাড়াও একইভাবে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন সৃজন । ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে নিশানা করনে তিনি । বলেন, "বামপন্থীরা কৌটো নেড়ে পয়সা তোলে বলে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়ে । যদিও সিপিএম কোনওদিন কারও থেকে জোর করে টাকা নেয়নি । কৌটো পেতেছে, যার যতটা ক্ষমতা সেই অনুযায়ী টাকা দিয়েছে । না পারলে দেয়নি । কিন্তু বিজেপি সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে ভয় দেখিয়ে কর্পোরেটের থেকে কোটি কোটি টাকা লুঠেছে । এতদিন তাঁরা দেশ চালিয়েছে, তবে আর চালাতে পারবে না ।"
আরও পড়ুন: