জলপাইগুড়ি, 15 সেপ্টেম্বর: ডা. সুশান্ত রায়ের বাড়িতে যাচ্ছে সিবিআই ! জলপাইগুড়িতে এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে । আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি-র গ্রেফতারির পর থেকেই সিবিআই 'জুজু' দেখছে জলপাইগুড়ি ।
আরজি কর-কাণ্ডে সুশান্ত রায়ের যোগ থাকা নিয়ে তদন্তে সিবিআই জলপাইগুড়িতে যাচ্ছে ? এই প্রশ্নেই তোলপাড় চলছে শহরে । উত্তরবঙ্গ লবির অন্যতম চিকিৎসক নেতা সুশান্তকুমার রায় ও তাঁর ছেলে সৌত্রিক রায়ের নাম জড়িয়েছে আরজি কর-কাণ্ডে । ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন প্রভাবশালী ডাক্তার সুশান্ত রায় । যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন ।
অন্যদিকে, একটি সরকারি নোটিশে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডের মহড়ার জন্য সুশান্ত রায়ের ছেলেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন ঘটনার দিন ভোরবেলায় । যদিও সৌত্রিক সেখানে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন । আরজি কর-কাণ্ডে সুশান্ত রায় ও সৌত্রিক রায়ের নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই জোর চর্চা চলছে । দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য দফতরে প্রভাব খাটানো ও অনিয়মের একাধিক অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ।
সিবিআই অভিযান নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পরই শনিবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সুশান্ত রায়ের বাড়ির কাছে ভিড় করেন । আবার আজ সকাল থেকেও ফের খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, কলকাতা থেকে সিবিাইয়ের টিম জলপাইগুড়িতে যাচ্ছে অভিযান চালাতে । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেশ কয়েকজন চিকিৎসককেও সুশান্ত রায়ের বাড়ির আশপাশে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা যায় । আদেও সিবিআই এসেছে কি না তা দেখতে অনেককেই দেখা গেল কম্পোজিট কমপ্লেক্স এলাকায় ।
আরজি কর-কাণ্ডে সুশান্ত রায় ও তাঁর ছেলের নাম জড়ানোয় আইএমএ জলপাইগুড়ি থেকে তাঁদের ও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করার জন্য আইএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দরবার করেছে জলপাইগুড়ি শাখা । ডা. সুশান্তকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন আইএমএ কমিটিও ভেঙে দিয়েছেন ব্রাঞ্চ সভাপতি ডা. নিতাই মুখোপাধ্যায় ৷